প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করার অঙ্গীকার করেছিলে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের আগে নিজেদের ইশতেহারেও এই ইঙ্গিত দিয়েছিল একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী দলটি। ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বলেছিল, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় গেলে শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদা বৃদ্ধিসহ সরকারের নানা কল্যাণমুখী ও যুগোপযোগী উদ্যোগ সত্ত্বেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেডসহ শিক্ষা খাতের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে, শিগগিরই এসব সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সূত্র জানিয়েছে সরকার গঠনের পরই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। এছাড়া নতুন করে এমপিও প্রদানের বিষয়টিও চিন্তা করবে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি সূত্র এই তথ্য জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮ ও এসডিজির আলোকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) গোলাম মোহাম্মদ হাসিবুল আলমকে আহবায়ক করে ১২ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী ১৫ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখের মধ্যে একটি খসড়া কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে উপস্থাপনের করবেন।
ওই কমিটি একটি বৈঠকেও করেছে। ওই সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শিক্ষার মান উন্নয়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে। ভাষা জ্ঞান ও গণিত জ্ঞানের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভাষা ও গণিত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। শিক্ষকদের বেতন ও মর্যাদাবৃদ্ধিসহ সরকারের নানা কল্যাণমূখী ও যুগোপযোগী উদ্যোগ সত্ত্বেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন গ্রেডসহ শিক্ষা খাতের কিছু কিছু ক্ষেত্রে যে বৈষম্য এখনও রয়ে গেছে, তা ন্যায্যতার ভিত্তিতে নিরসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। সকল দৃষ্টি-প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী জন্য প্রাথমিক স্তর থেকে তাদের উপযোগী পাঠ্যবই প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। স্কুল ফিডিং কর্মসূচি সকল গ্রামে, আধা-মফস্বল শহরে এবং শহরের নিম্মবিত্ত এলাকার স্কুলসমূহের পর্যায়ক্রমে সার্বজনীন করা হবে।
জানা গেছে, শিক্ষকদের বেতম গ্রেডের বৈষম্য দূর করার পাশাপাশি শিক্ষা খাতেও আমূল পরিবর্তনের পরিকল্পনা আছে আওয়ামী লীগের। দেশের ৯৫ শতাংশ শিশুর মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা হবে ২০৩০ সালের মধ্যে। এছাড়াও শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ও তার কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে আওয়ামী লীগ সরকার। ভাষাজ্ঞান ও গণিতজ্ঞানের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের ভাষা ও গণিত শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার চর্চা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাপত্র তৈরি করা হবে।
No comments:
Post a Comment