Showing posts with label Study Tips. Show all posts
Showing posts with label Study Tips. Show all posts

Oct 12, 2019

এন্ড্রোয়েড ফোনেই রান করান সি/সি++ প্রোগ্রাম। ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়ারা অবশ্যই দেখবেন।

এন্ড্রোয়েড ফোনেই রান করান সি/সি++ প্রোগ্রাম। ইন্টারমিডিয়েট পড়ুয়ারা অবশ্যই দেখবেন।


আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। আপনারা যারা ইন্টারমিডিয়েটে পড়েন তারা নিশ্চয় জানেন যে ICT বইয়ের চতুর্থ চ্যাপ্টার হচ্ছে প্রোগ্রামিং নিয়ে যেখানে বেসিক সি প্রোগ্রামিং নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কেমন হয় যদি বোর্ডের বা টেস্ট পেপারের প্রোগ্রামিং রিলেটেড প্রশ্নের উত্তর আপনার হাতের মোবাইলেই রান করিয়ে দেখে নিতে পারেন সঠিক হলো কি না? নিশ্চয়ই ভালো হয়, তাই না? তাহলে চলুন শুরু করি আজকের লেখা।
সি প্রোগ্রাম রান করানোর বেশ কয়েকটি অ্যাপ প্লে-স্টোরে পাওয়া যায়। তার মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে- C4Droid এবং CPP Droid. তবে, C4Droid পেইড এবং লেটেস্ট এন্ড্রোয়েড (Android 9.0) ডিভাইস গুলোতে কাজ করে না। তাই আমরা CPP Droid নিয়েই আলোচনা করব। অ্যাপটি প্লে-স্টোর ডাউনলোড লিঙ্ক পোস্টের নিচে দেওয়া আছে। পোস্টটি পড়া শেষ হলে ডাউনলোড করে নিবেন।
তো অ্যাপটি ডাউনলোড করার পর কিছুক্ষণ লোডিং হবে। তারপর নিচের মতো আসবে।
Editor ট্যাবে আপনি প্রোগ্রাম লিখতে পারবেন।
যেমন আমি ফ্যাক্টোরিয়াল নির্ণয়ের প্রোগ্রামি লিখলাম।
প্রোগ্রামে কোনো ভুল থাকলে Diagnostics ট্যাবে দেখাবে।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নিচের চিত্রে মার্ক করা বাটনে ট্যাপ করুন। প্রোগ্রামটি সফলভাবে কম্পাইল হলে Compilation finished লেখা আসবে, অন্যথায় ধরে নিতে হবে যে প্রোগ্রামে কোথাও ভুল আছে।

কম্পাইল হয়ে গেলে নিচে মার্ক করা প্লে বাটনে ট্যাপ করুন। প্রোগ্রামটি রান করবে।
দেখুন আমার প্রোগ্রাম রান করেছে এবং ৫  ইনপুট করে এর ফ্যাক্টোরিয়াল ১২০ পাওয়া গেছে।
এ ভাবে আপনি এন্ড্রোয়েড ফোনেই সি প্রোগ্রাম রান করাতে পারবেন। আজকের মতো এতটুকু। কথা হবে অন্য কোনো পোস্টে। ততক্ষণ ভালো থাকুন। আল্লাহ্ হাফেয।

যারা এসএসসি ও এইসএসসি এক্সাম দিবেন তারা পোস্টটি দেখুন

যারা এসএসসি ও এইসএসসি এক্সাম দিবেন তারা পোস্টটি দেখুন


পরিক্ষা সামনে কিছু ভালো লাগেনা, আর মাত্র তিন চার মাস বাকী আছে।
কিন্তু পরিক্ষার চিন্তায় ভালো লাগে না, সারাবছর তো পড়ালেখা করি নাই, মেয়েদের পেছনে পেছনে ঘুরতে ঘুরতে বছরের শেষ প্রান্তে চলে এসেছে।
বাবার কতো টাকা শেষ করলাম প্রাইভেট পড়ে কতো খাতা কলম নষ্ট করলাম তার শেষ নেই, সেই সাথে সাথে সময় ও নষ্ট অনেক করলাম, এবং মাথাটাও নষ্ট করলাম ; পরিক্ষায় কি লিখবো বুঝতেছিনা।
আচ্ছা এই রকমের পরিস্থিতিতে পরেন নাই এমন কেউ আছেন?
হয়তো যাদের পরিাক্ষর প্রস্তুতি ভালো, এবং ভালো স্টুডেন্টস সেই বলতে পারে আমি আছি।
কিন্তু দেখা যায় অধিকাংশ ছেলেমেয়ারাই এরকম পরিস্থিতিতে পরে।
আপনি সারাবছর পড়েন নাই, এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে কি লাভ বলেনতো?
কোনো লাভ নেই, লাভ ছিলো যখন সময় গুলো নষ্ট করতেছিলেন তখন যদি ভবিষ্যতের ভাবনা টা ভাবতেন।
অতীতে যা…ই করছেন না কেনো সেটা বর্তমানে ভাববেন না, একদম ভুলে যাবেন, এবং বর্তমান সময় টাকে মুল্য দিন তাহলেই ভালো ফলাফল করতে পারবেন।
যদি বলেন মাত্র ৩-৪ মাস পরে কোনোদিন ও ভালো রেজাল্ট করা সম্ভব নয়, তাহলে আমি বলবো আপনি বোকার চেয়ে ও বোকা।
আপনি যদি এই তিন চারমাস ১৪ ঘন্টা লেখা পড়া করেন তাহলে আপনাকে ভালো রেজাল্ট করা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না, আপনি শ্রেফ চ্যাটিং করার সময় যেরকম মোবাইলের স্কিনের সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা যেরকম মনোযোগ সহকারে বসে চ্যাটিং করেন, সেভাবে পড়ার টেবিলে বইয়ের সাথে চ্যাটিং করুন ;তাহলেই হলো।
যারা বলতেছেন, আমি যা পড়ছি সারা বছর তা দিয়ে পাশ করতে পারবোনা ……………
আমি বলি কি, আপনি এরকম চিন্তা বাদ দিয়ে আপনি যাস্ট মোবাইল, বন্ধু বান্ধব বাদ দিয়ে পড়ালেখায় মনোযোগ দিন, তাহলেই আপনি ভালো রেজাল্ট করতে পারবেন, ভালো রেজাল্ট না করেন অত্যন্ত পাশ তো করতে পারবেন!
এখন হয়তো বুঝতছেন না যে, একটা পয়েন্টের কতো মূল্য ভালো একটা কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য একটা পয়েন্টের কতোটা মূল্য।
বন্ধু বান্ধব, মেয়ে, মোবাইল এগুলো সব স্কিপ করে আজই দুটো রুটিন বানিয়ে ফেলেন, ১৪ঘন্টা লেখাপড়া করার জন্য, হয়তো এগুলো ছাড়তে একটু কষ্ট হবে, এবং এই ১৪ঘন্টার পরিবেশে এসে ও টিকে থাকাটা কষ্টকর হবে আপনার জন্য ;
তবে জেনে রাখুন জীবনে কিছু পেতে হলে কষ্ট ছাড়া সম্ভব নয়।
মাঠে কৃষক রোদ বৃষ্টির মধ্য হাল চাষ করে, তারপরেই সে সোনার ফসল লাভ করে।
পরিক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে আপনাকে ও এরকম পরিশ্রম করতে হবে তাহলে দিনশেষে আপনিও কৃষকের মতো খুশীতে নাচতে পারবেন।

Oct 3, 2019

জেনে নিন ইংরেজি ভাষা শেখার বৈজ্ঞানিক এবং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি।

জেনে নিন ইংরেজি ভাষা শেখার বৈজ্ঞানিক এবং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি।



আস-সালামু আলাইকুম। আমরা প্রায় সবাই-ই ইংরেজি বই কম পড়ি বা পড়তে আগ্রহ পাই না। আরো সহজভাবে বললে ভাষাটা বুঝি না বলেই পড়তে ভয় পাই। কিন্তু, আজকের বিশ্বায়নের যুগে ইংরেজি শেখাটা খুব জরুরি। তা নাহলে আপনি যুগের থেকে বেশ পিছিয়ে পড়বেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা ইংরেজি শিখতে গিয়ে ব্যর্থ হই। তার কারণ হচ্ছে আমরা একটি ভাষা শেখার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি জানি না বা অনুসরণ করি না। চলুন ভাষা শেখার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দিয়েই শুরু করি।

ভাষা শেখার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি:

কখনো কি লক্ষ্য করেছেন কিভাবে একটি শিশু ভাষা শেখে? সে কিন্তু প্রথমেই লেখা বা পড়া শিখে না। গ্রামার বা ব্যাকরণ দিয়েও শুরু করে না। সে প্রথমে আশেপাশের মানুষের মুখ থেকে শোনা শব্দগুলো আয়ত্ত করে। তারপর তার শব্দভাণ্ডার থেকে কিছু কিছু শব্দ ব্যবহার করে। এভাবে সময়ের সাথে সাথে তার শব্দভাণ্ডার বড় হতে থাকে। সে আরো বেশি শব্দ ব্যবহার করে। ৪-৫ বছরে সে তার মাতৃভাষাটা প্রায় পুরোটাই শিখে নে। মূলত এটাই একটি ভাষা শেখার প্রাকৃতিক বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।
আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন আমরা বাংলা পারি ঠিকই, কিন্তু আমাদের বানান বা ব্যাকরণে প্রচুর ভুল হয়। যেমন: আমরা পোস্ট শব্দটাকে লিখি পোষ্ট, যা ভুল। আবার আমরা কোরবানির সময় এলে বলি, “এক বিরাট গরু ছাগলের হাট” যার মধ্যে ব্যাকরণিক ত্রুটি বিদ্যমান (শুদ্ধ হচ্ছে: গরু ছাগলের এক বিরাট হাট)।
তো দেখা যাচ্ছে আমরা ব্যাকরণ না জেনেই বাংলা বলতে পারি, যদিও কিছু কিছু ব্যাকরণিক ভুল থেকে যায়।
এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কেন আমরা বারবার ইংরেজি শিখতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছি। আমরা সাধারণত গ্রামার দিয়েই ইংরেজি শিখা শুরু করি। যা সম্পূর্ণ ভুল পদ্ধতি। একটি ভাষা শিখতে হলে আপনার শব্দভাণ্ডারে ঐ ভাষার শব্দের সংখ্যা বাড়াতে হবে, ভাষাটা শুনতে হবে। তারপর ঐ ভাষার ব্যাকরণ শিখবেন। তাহলেই আপনি কয়েক বছরেই একটি ভাষা আয়ত্ত করতে পারবেন।

ইংরেজি শিখতে হলে:

১) শব্দভাণ্ডার বাড়াতে হবে:
আপনাকে প্রচুর ইংরেজি শব্দ মুখস্থ করতে হবে। তার জন্য বেশি করে ইংরেজি বই পড়তে পারেন, ইংরেজি আর্টিকেলও পড়তে পারেন। প্রতিদিন ডিকশনারি দেখে যদি ২০ টি শব্দ মুখস্থ করেন তাহলে আপনার শব্দভাণ্ডারে বছরে যোগ হচ্ছে টোটাল ৭৩০০০ টি শব্দ! তবে আজকের শেখা শব্দগুলো আগামী ৩ দিন অবশ্যই রিভিশন দিতে হবে, নাহলে ভুলে যাবেন।
২) প্রচুর ইংরেজি শোনতে হবে:
কোনো ভাষা শোনা কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাষা শিক্ষা পদ্ধতির অংশ। তাই আপনাকে বেশি করে ইংরেজি শোনতে হবে। তার জন্য আপনি ইংরেজি মুভি, টিভি সিরিজ দেখতে পারবেন। এতে করে আপনি শোনার পাশাপাশি বিভিন্ন এক্সপ্রেশন বুঝতে পারবেন।
৩) ইংরেজি গ্রামার শেখা ও পাশাপাশি কথা বলা:
ইংরেজি শিখতে হলে আপনাকে ইংরেজিতে কথা বলার মাধ্যমে আপনার শব্দভাণ্ডারে যোগ হওয়া শব্দগুলো প্র্যাকটিস করতে হবে। আর সঠিকভাবে বাক্য গঠন করতে হলে আপনাকে গ্রামার শিখতে হবে। গ্রামারের জন্য ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের ভালো কোনো বই অনুসরণ করতে পারেন। আর কথা বলতে জড়তা বোধ করলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে নিজের সাথে কথা বলুন।
[দয়া করে পোস্টটি কপি করবেন না। এই পোস্ট ইন্টারনেটে আর কোথাও নেই।]
তো এই ছিলো আমার আজকের লেখা। কথা হবে অন্য কোনো এক সময়ে। ততক্ষণ ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আল্লাহ্ হাফেয।

কিছু টিপস ফলো করে ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলুন আপনিও।

কিছু টিপস ফলো করে ইংরেজিতে অনর্গল কথা বলুন আপনিও।

 আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমরা সবাই চাই ইংরেজিতে ফ্লুয়েন্টলি কথা বলতে। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে তা হয়ে উঠে না। আজকের আলোচনায় আমি একজন IELTS ক্যান্ডিডেট হিসেবে সেইসব প্রতিবন্ধকতা কাঠানোর উপায় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করবো। চলুন শুরু করি।

১। চিন্তাটা ইংরেজিতে করতে হবে:

আমরা ইংরেজিতে যখন কথা বলি, তখন আগে কী বলব তা বাংলায় ভেবে নেই। তারপর সেটা মনে মনেই ইংরেজিতে অনুবাদ করি এবং তারপর ইংরেজিতে বলি। এর ফলে বারবার বাংলা এবং ইংরেজিতে আমাদের আসা-যাওয়া চলতে থাকে। যে কারণে, কথায় ফ্লুয়েন্সি থাকে না। তাই, আমাদের চিন্তাটাও ইংরেজিতেই করতে হবে। শুধুমাত্র কথা বলার সময় না। যেকোন সময়ই। যখনই আমরা নিজের মনে কিছু চিন্তা করবো, চেষ্টা করতে হবে সেই চিন্তাও যাতে ইংরেজিতে হয়।

২। একা একা কথা বলা:

যদি ইংরেজিতে চিন্তা করার অভ্যাসটি রপ্ত করে ফেলতে পারেন তাহলে আশে পাশে যখন কেউ নেই; সেই চিন্তাগুলোই নিজেকে নিজে বলে ফেলুন। নিজের কানে যখন নিজের কথা শুনতে পাবেন, নিজের ভুলগুলোও নিজেই ধরতে পারবেন। এবং প্রতিবার প্র্যাকটিসের সময় বুঝতে পারবেন যে, আগের চেয়ে ফ্লুয়েন্সি কতটা বাড়লো।

৩। গ্রামার নিয়ে বেশি চিন্তা না করা:


ইংরেজিতে কথা বলা নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় গ্রামার নিয়ে। দেখা যায়, গ্রামার নিয়ে এমনিতে কোন সমস্যা নেই। নির্ভুল গ্রামারে লিখে যেতে পারছি। কিন্তু বলতে গেলেই গ্রামারে টুকটাক ভুল হয়েই যাচ্ছে। এবং তখনই আমরা থেমে যাচ্ছি। এ কারণেই, প্র্যাকটিসের সময় গ্রামার নিয়ে বেশি মাথা ঘামানো যাবে না। ভুল হচ্ছে? হোক! কথা বলা থামানো যাবে না। গ্রামারের ভুলগুলো যতদিন যাবে কমে আসবে। কিন্তু, গ্রামারের কথা ভেবে যদি বলা থামিয়ে দেই, তবে ফ্লুয়েন্সি কখনোই আসবে না।

৪। প্রচুর ইংরেজি শোনা:

সিরিজ বা মুভি দেখতে গেলেই বোঝা যায় ইংরেজির কিছু আলাদা শব্দ থাকে। সেগুলোর বাংলা অর্থ করলে দেখা যাবে কিছুই বুঝা যাবে না। সেগুলো যত না শব্দ বা বাক্য, তার চেয়ে বেশি এক্সপ্রেশন। তাই, প্রচুর ইংরেজি সিরিজ আর মুভি দেখতে হবে।

৫। ইংরেজিতে গল্প বলা:

আপনার সবচেয়ে প্রিয় গল্পটি কাউকে ইংরেজিতে শোনান। এটা নিজেকে পরীক্ষা করার খুব ভাল একটা উপায়। যে গল্পটা আমরা খুব ভাল জানি, তা বলতে গেলে আমাদের খুব একটা ভাবতে হয় না। অনর্গল বলে যেতে পারি। সেই গল্পটাই ইংরেজিতে আমরা ঠিক কতটা ভাল বলতে পারছি, সেটা বুঝলেই নিজের অবস্থা সম্পর্কে খুব ভাল একটা ধারণা হয়ে যায়।

৬। যেকোন শব্দের অন্যান্য রূপ সম্পর্কে জানা:

যেকোন শব্দের বেশকিছু রূপ থাকে। এবং একই শব্দের অনেক রকম ব্যবহার হতে পারে। খুব সহজ কোন উদাহরণ যদি দেই, ইংরেজি “sentence” শব্দের মানে বাক্য ও হতে পারে, আবার কারাদণ্ড অর্থেও এটা ব্যবহার করা হয়। এরকম বেশ কিছু শব্দ আছে, যার অনেক রকম মানে দাঁড়ায়। শুধু তাই না, একই শব্দ বাক্যভেদে ভিন্ন অর্থ বহন করে । তাই, শব্দের এই ভিন্ন ভিন্ন রূপ জানতে হবে এবং সেইসাথে ব্যবহারও করতে হবে।

৭। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা:

আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বললে যা হবে, আমরা ইংরেজি বলার সময় আমাদের বাচনভঙ্গিও দেখতে পাবো। অধিকাংশ সময় যেটা হয়, আমরা ইংরেজিতে কথা বলার সময় আমাদের ভুল নিয়ে এতটাই সচেতন থাকি যে আমাদের আচরণে সেটা ফুটে উঠে। যখন আমরা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে প্র্যাকটিস করবো, তখন নিজেদের এই ভুল বুঝতে পারবো এবং  নিজেদের আড়ষ্টতা কাটানোর জন্য কাজ করবো।

৮। সংকোচ কাটিয়ে তোলা:

একা একা বেশ কিছুদিন প্র্যাকটিস করার পর আমাদের মনে হতে পারে যে, এখন আমরা অন্যদের সামনেও একইভাবে না আটকে ইংরেজিতে কথা বলে যেতে পারবো। কিন্তু আসলেই যখন সময় আসে অন্যের সামনে বলার তখন পারি না। প্রশ্নটি হচ্ছে, কেন? কারণ আমাদের কাছে মনে হয়, যদি কোন ভুল হয় তাহলে সামনের মানুষটার সামনে আমাকে লজ্জায় পড়তে হবে। আমাদের কোন ভুল কেউ ধরুক, খুব স্বাভাবিকভাবেই আমরা তা চাই না । কিন্তু, এই ভয় বা লজ্জাটাই আমাদের অনেকখানি পিছিয়ে দেয়। তাই, সব ভয় বা লজ্জা কাটিয়ে উঠে আমাদের বলতে হবে। প্রয়োজনে ধীরে বলবো। পরের বাক্যটা বলার আগে একটু চিন্তা করে নিবো। কিন্তু বলবো। যদি ভুল হয়েও যায়, থামা যাবে না। আবার শুরু করতে হবে।
আশা করি আপনারা উপর্যুক্ত ধাপগুলো ফলো করলে সহজেই ইংলিশ স্পিকিং আয়ত্ত করতে পারবেন। আপনাদের প্রতি শুভ কামনা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ্ হাফেয।

Sep 29, 2019

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা

ভর্তি পরীক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা....

#ফর্ম তোলা নিয়ে বলবো প্রথমেই, এ বিষয়ে মোটেই কার্পণ্য করা যাবে না, কারন অনেক সময় দেখা যায় যতই ভাল ছাত্র হোক না কেন রেজাল্টে নিজের নাম খুঁজে না পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। ভাগ্যটাও অনেকটাই ফ্যাক্টর। তাই ফর্মের ক্ষেত্রে এক ভার্সিটি টার্গেট করে পড়লেও ব্যাকআপ হিসেবে কয়েকটা রাখা উচিত, শেষ মূহুর্তে এসে আক্ষেপ করে কোন লাভ হবে না।

#এডমিশন সিরিয়ালের ক্ষেত্রে দেখা যায় সাধারনত সব জায়গাতেই (বুয়েট-মেডিকেল বাদে) পর্যাপ্ত সিরিয়ালের প্রায় দ্বিগুন সংখ্যা পর্যন্ত চান্স পায়। সুতরাং ১২০০ সিটের কোন ভার্সিটিতে যদি তুমি ২০০০ তম ও হও, তুমি মোটামুটি নিশ্চিন্ত থাকতে পার।
#যে কয়টার ফর্ম তুলবা সবগুলাই পরীক্ষা দিবা, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকেই কোন ভার্সিটিতে কোন রকম সিরিয়াল পেয়েই পড়ালেখা প্রায় ছেড়ে দেয়, এমনটা করা যাবে না, হয়ত অন্য কোথাও তোমার জন্য ভাল সাবজেক্ট অপেক্ষা করছে। হ্যাঁ তবে যেখানে তোমার পড়ার একদমই ইচ্ছা নেই সেগুলো বাদ দিতেই পার।
#কনফিডেন্স! এই জিনিসটা এমন যে তুমি যখন কোন ভার্সিটিতে একবার চান্স পাও তখন দেখবা এর পর যত পরীক্ষাই দিবা সিরিয়াল আসতেই থাকবে। সুযোগ হাতছাড়া করবা না। শেষে ভেবেচিন্তে তোমার যেটায় সুবিধা হয়, যে সাবজেক্ট পড়তে ভাল লাগে, যেখানে ভবিষ্যৎ ভাল সেই ভার্সিটিতে ভর্তি হবা।

#এডমিশন সময়ে তো পরীক্ষা দিতে দিতে পুরো দেশটাই ঘুরে ফেলবা। হ্যা তবে যাতায়াতের সময় খুব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময়ে ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনাও বেড়ে যায়। আর অনেক সময়ই হয় যে কেউ পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে সব হারিয়েছে। তাই কোথাও যাওয়ার আগে সেখানে কই থাকবা, কে কে আছে সেখানে চেনাজানা, সবার সাথে যোগাযোগ করে যাবা। আর এ সময় ছোট খাটো একটা সার্কেলও বানিয়ে ফেলতে পারো যারা একসাথে গিয়ে পরীক্ষা দিবা।

#বাসা থেকে বের হওয়ার আগে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সব দেখে বের হবা। এডমিট কার্ড দরকার হলে কয়েক কপি ফটোকপি করে রাখবা, বিপদ কখনো বলে আসে না। পেন, পেন্সিল, ক্যালকুলেটর চেক করে নিতে ভুলবে না। টাকা-পয়সা সাবধানে রাখবে। আমি সব পরীক্ষার এডমিট, সার্কুলার, নিজের ছবি এগুলার সফট কপি একটা পেনড্রাইভে করে সাথে রাখতাম যদি কখনো লেগে বসে তাই...

#আর যে একটু বড় দূরত্বের ভার্সিটিতে পরীক্ষা দিতে যাবা তখন বাসে/ট্রেনে অযথা সময় নষ্ট না করে সেই ভার্সিটির প্রশ্নব্যাংক দেখতে দেখতে যাবা। যাতায়াতের সময় কানে ইয়ারফোন দিয়ে গান শোনার অনেক সময় পাবা, কিন্তু তোমার একদিন গান না শুনে প্রশ্নব্যাংক সলভ করা তোমার জীবনের অনেক কিছু পরিবর্তন করে দিতে পারে।

#শেষে একটা কথাই বলব, হতাশ হবা না। হতাশা জীবনে কিছুই দিবে না। সিরিয়াল আসে নি তোমার প্রিয় ভার্সিটিতে??? হয়ত তোমার ঘাটতি ছিল অথবা তোমার জন্য আরো ভাল কিছু অপেক্ষা করছে! তাই থেমে থাকবা না। তোমার উপযুক্ত স্থান বেছে নেওয়ার দায়িত্ব তোমারই।

শুভ কামনা রইল❤
Selim ReZa
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Sep 28, 2019

যেকোনো নিদৃষ্ট তারিখ কি বার ছিলো আসুন নির্নয় করি মাএ ১ মিনিটে

যেকোনো নিদৃষ্ট তারিখ কি বার ছিলো আসুন নির্নয় করি মাএ ১ মিনিটে

বৃষ্টি ভেজা শরৎ আকাশ, শিউলি ফুলের গন্ধ৷ মা আসছেন আবার ঘরে, দরজা কেন বন্ধ? পুজো এলো তাইতো আবার বাজনা বাজায় ঢাকী৷ গুনে দেখো পুজো আসতে আরো ছয়’দিন বাকি৷

সকলকে শরৎ শিউলিফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট।
আমরা অনেক সময় কোনো একটি ঘটনার সন ও তারিখ জানি। কিন্তু সেই তারিখে কী বার ছিল তা জানতে ইচ্ছে করে। সেই ইচ্ছে করলেও হাতের কাছে এমন কোনো উপায় থাকে না, যাতে করে চট্ করে সেই বারের নামটা জানা যায়। ফলে জানার ইচ্ছেটাকে সেখানেই মাটিচাপা দিতে হয়। তেমনটি যাতে না ঘটে, সে জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখে কী বার ছিল তা জানার একটা উপায় এখানে জানানোর চেষ্টা।
আমরা জানি,জানুয়ারি মাস ৩১ দিনে। এর অর্থ হচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিটা বার আসবে ৩ দিন দেরি করে। এ ৩ দিন দেরি
হবে জানুয়ারি মাসে একই তারিখের বারের তুলনায়। কারণ, ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে এবং ২৮ দিনে ঠিক ৪ সপ্তাহ। তাহলে ফেব্রুয়ারির জন্য এই ৩ সংখ্যাটি আমরা মনে রাখি। আসলে এই ৩ হচ্ছে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের দিনের সংখ্যার পার্থক্য।
একইভাবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের পার্থক্য ৩ দিন- ফেব্রুয়ারি ২৮ দিনে, মার্চ ৩১ দিনে। অতএব মার্চের জন্য মনে রাখতে হবে ৩ সংখ্যাটি। আবার যেহেতু মার্চ থেকে
এপ্রিলে দিনের সংখ্যা ১ দিন কম, সেহেতু মার্চের তুলনায় এপ্রিলের একই তারিখের বারগুলো আসবে ৭-১ বা ৬ দিন পিছিয়ে বা দেরিতে। অতএব এপ্রিলের জন্য মনে রাখা চাই ৬ সংখ্যাটি। এভাবে কোন মাসের একই তারিখ আগের মাসের তুলনায় কয়দিন দেরিতে আসবে তা বিবেচনা করে নিচের
ছকটি তৈরি করা হয়েছে।
এই ছকটি মনে রেখে কয়েকটি গাণিতিক ধাপ সম্পন্ন করে আমরা বলে দিতে পারবো কোন তারিখে কী বার ছিল।
প্রথম ধাপ :
যে তারিখটির বারের নাম জানতে চান তা ধরুন। মনে করুন
আমরা ১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর কী বার ছিল তা জানতে চাই।
দ্বিতীয় ধাপ :
উপরের ছক থেকে মাসের নামের সংখ্যাটি নিন। ডিসেম্বর মাসের জন্য এ সংখ্যা ৫।
তৃতীয় ধাপ :
এবার তারিখের সংখ্যাটি নিন। এখানে এ সংখ্যাটি ২২।
চতুর্থ ধাপ :
সনের সংখ্যা থেকে শেষ দুটো অঙ্ক দিয়ে গঠিত সংখ্যাটি নিন। এখানে ৯৭।
পঞ্চম ধাপ :
সনের সংখ্যার শেষ দুই অঙ্কের সংখ্যাকে ৪ দিয়ে ভাগ করে ভাগফল দাঁড়ায় ২৪।
নোটঃ এটা ঐ শতকে কততম লিপিয়ার সাল সেটা যানার জন্য। করান লিপিয়ার সালে ১ বছর হতে ৩৬৬ দিন লাগে।
ষষ্ঠ ধাপ :
উপরে পাওয়া সংখ্যা চারটি একসাথে যোগ করুন :
২২+৫+৯৭+২৪=১৪৮
সপ্তম ধাপ :
পাওয়া যোগফলকে ৭ দিয়ে ভাগ করুন। নোটঃ আমরা জানি ৭ দিনে ১ সপ্তাহ
১৪৮-কে ৭ দিয়ে ভাগ করে ভাগফল পাওয়া গেল২১। আর অবশিষ্ট রইল ১।
অবশিষ্ট হিসেবে পাওয়া সংখ্যাই বলে দেবে নেয়া তারিখে কোন বার ছিল। নিচের তালিকা থেকে জানা যাবে তারিখটি কোন বার হলে অবশিষ্ট কত থাকবে। যেমন আমাদের
দেয়া উদাহরণে অবশিষ্ট ছিল ১। তাই এ বারটি ছিল সোমবার তা ছকই বলে দেবে।

তারিখ থেকে বার বের করার আরো টেকনিক
সূত্র ১ :
যেকোন বৎসরের ১ম ও শেষ তারিখ (১ম
দিন ও শেষ দিন )
সর্বদা একই বার হবে।
অর্থাৎ :
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি = মঙ্গলবার
ছিল
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর = মঙ্গলবার
হবে
সূত্র ২ :
Leap year হলে ক্যালেন্ডারে ১ দিন
বাড়ে(ফেব্রুয়ারিতে ১ দিন বাড়ে), তাই ১ দিন
যোগ দিতে হবে। অর্থাৎ Leap year এর ১ম
ও শেষ তারিখ (১ম দিন ও শেষ দিন ) একই বার হবে না। ১ দিন যোগ দিতে হবে।
অর্থাৎ :
২০১৬ = Leap year
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি = শুক্রবার
হবে
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর = শনিবার
হবে
সূত্র ৩ :
চলতি বৎসরের কোন তারিখ যে বার
ছিল, পরবর্তী বৎসরে সেই তারিখ কি বার হবে??
এক্ষেত্রে ১ দিন যোগ দিতে হবে।
অর্থাৎ :
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি = মঙ্গলবার
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি = বুধবার হবে
সূত্র ৪ :
সাধারণত বৎসরের ৩/১, ৪/৪, ৬/৬, ৮/৮,
১০/১০ তারিখগুলো একই বার হয়ে থাকে।
এখানে, ৩/১ = ৩ জানুয়ারি, ৪/৪ = ৪
এপ্রিল, ৬/৬ = ৬ জুন, ৮/৮ = ৮ অগাস্ট, ১০/১০ = ১০ অক্টোবর
অর্থাৎ :
কোন বৎসরের ৩/১ শনিবার হলে ৪/৪, ৬/৬,
৮/৮, ১০/১০ এই
তারিখ গুলোও শনিবার হবে।




প্রশ্ন: ২০১৩ সালের ১ লা জানুয়ারি
মঙ্গলবার হলে ঐ
বৎসরের ১২ ই অক্টোবর কী বার হবে?
উত্তর :
প্রশ্নে ১/১ মঙ্গলবার বলা আছে। এর
দুইদিন পর ৩/১ হবে বৃহস্পতিবার।
আমরা জানি — ৩/১, ৪/৪, ৬/৬, ৮/৮, ১০/১০ তারিখগুলো একই বার হয়ে থাকে।
এখন ৩/১ যদি বৃহস্পতিবার হয় তবে ১০/১০ হবে বৃহস্পতিবার।
(সূত্রানুসারে)
সুতরাং ১২/১০ হবে শনিবার।
জানা তারিখে জানা বার নিয়ে এই নিয়মটি অনুশীলন করে দেখুন ঠিক কি না।
পোস্টি ভালো লাগলে আলতো করে লাইক বাটনে একটা চাপ দিয়ে যাইয়েন।
কেউ না বুঝলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ

Sep 15, 2019

গল্পে গল্পে তড়িৎ প্রবাহ বিজ্ঞানের ছাত্ররা অবশ্যই দেখবেন

আসসালামু আলাইকুম, সকলের সুস্থতা কামনা করে এবং সবাইকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের আর্টিকেল শুরু করছি। আশা করি সকলেই অনেক ভাল অাছেন। আজকে আপনাদের সাথে পদার্থবিজ্ঞানের তড়িৎ প্রবাহ নিয়ে আলোচনা করবো।

১.তড়িৎ প্রবাহ (A), ২.বিভব পার্থক্য(V), ৩.ওয়াট(W), ৪.AC বিদ্যুৎ ও ৫.DC বিদ্যুৎ
ঝর্ণা পছন্দ নয় এমন মানুষ খুব একটা নেই । বন্ধুরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম কোথাও বেড়াতে যাব । এক এক জন এক এক রকম সাজেশন দিল । শেষ পর্যন্ত পাহাড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হল । আমার খুব একটা পাহাড় পছন্দ না…. তবে ঝর্ণা পছন্দ…..
সেখানে একটা সুন্দর ঝর্ণা আছে জানতে পেরে যাওয়ার ব্যাপারে আমি আগ্রহী…..
যথা সময়ে সেখানে পৌঁছলাম । আর ভাল লাগা গুলোকে আলিঙ্গন করতে লাগলাম । ঝর্ণার সৌন্দর্য বা ভাল লাগা অন্য রকম.. এটা ঘটা করে বলার মত কোন ঘটনা নয় । প্রত্যেকেই এই ঘটনা গুলো জানেন ।
ঝর্ণা কি আসলে পাহাড়ের কান্না….? আচ্ছা এই পানি গুলো আসে কোথায় থেকে… আবার যায় কোথায়….? ঝর্ণার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মাঝখানে কারো মনে কি এরকম প্রশ্ন গুলো জেগেছে…..?
এই পানি কোথা থেকে আসে এটা আজকের বিষয় বস্তুর অংশ নয়…. তবে কোথায় যায় সেটাই আজকের বিষয় বস্তু…. পর্যবেক্ষক হৃদয়টাকে একটু প্রসারিত করুন….
পানি গুলো ঝর্ণা বেয়ে ছোট ছোট খালে বিভক্ত হয়ে শেষে নদীতে গিয়ে পড়ে । আর নদী সেই স্রোত ধারা বয়ে নিয়ে যায় সাগরে । একটু খেয়াল করলে দেখবেন যে ঝর্ণা থেকে নিদিষ্ট পরিমাণ পানি নদীতে গিয়ে পড়ে… আর তার কারণে নদীতে স্রোত তৈরি হয় । আচ্ছা যদি নদীর প্রশস্ততা কমিয়ে দেই
তাহলে কি ঝর্ণা থেকে আসা এই নিদিষ্ট পরিমাণ পানির জন্য নদীর স্রোতের গতি বাড়বে নাকি কমবে….. অবশ্যয় নদীর প্রশস্ততা কমিয়ে দিলে নিদিষ্ট পরিমাণ পানির জন্য নদীর স্রোতের গতি বাড়বে । সংক্ষেপে… নদীর প্রশস্ততা কমিয়ে দিলে
স্রোতের গতি বাড়বে বলা যায়…. আবার নদীর প্রশস্ততা বাড়িয়ে দিলে স্রোতের গতি কমবে । এটা বুঝা গুরুত্বপূর্ণ তবে খুব যে গুরুত্বপূর্ণ তা নয় । এখানে দুটি কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ –
1.নদীর প্রশস্ততা বা দুই পাড়ের দূরত্ব….
2. নদীর স্রোত বা প্রবাহ ।
বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার সাথে এটার খুব মিল…….
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে তিনটি বিষয় দিয়ে আমরা বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে প্রকাশ করি । এগুলো হল
(1.)ভোল্টেজ (2.)ওয়াট (3.)অ্যাম্পিয়ার…. কিন্তু খুবই অদ্ভুত ব্যাপার হল তিনটাই আমাদের কাছে একি । আমি কিন্তু অনেকের মনের কথাই বলে ফেলেছি….।
সবকিছু কিন্তু দুটো তারের মধ্যেই ঘটছে… একটা তার নেগেটিভ অন্যটা পজিটিভ ।
আলু যেমন কেজি দিয়ে বা তেল যেমন লিটার একক দিয়ে মাপে তেমনি বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার মধ্যে প্রত্যেকটি বিষয়কে মাপার জন্য আলাদা আলাদা একক আছে । আমরা আসলে যেটাকে ভোল্টেজ বলি সেটা হল মূলত “বিভব পার্থক্য” যার একক হল “ভোল্ট”
অর্থাৎ একে মাপা হয় “ভোল্ট” দিয়ে এবং একে “V” দ্বারা প্রকাশ করা হয় । যেটাকে আমরা ওয়াট বলি এটা মূলত “ক্ষমতা”…. যার একক হল ওয়াট…অর্থাৎ যে কোন কিছুর ক্ষমতাকে ওয়াট দিয়ে মাপা হয় এবং
একে W দ্বারা প্রকাশ করা হয় । আবার আমরা যেটাকে অ্যাম্পিয়ার বলি সেটা মূলত “তড়িৎ প্রবাহমাত্রা” । “তড়িৎ প্রবাহমাত্রার” একক হল “অ্যাম্পিয়ার” অর্থাৎ “তড়িৎ প্রবাহমাত্রা” কে “অ্যাম্পিয়ার” দিয়ে মাপা হয় এবং একে A দিয়ে প্রকাশ করা হয় ।
সংক্ষেপে যদি বলি
(1)”বিভব পার্থক্য” -“ভোল্ট”(V)
(2) “তড়িৎ প্রবাহমাত্রা” – “অ্যাম্পিয়ার”(A)
(3)”ক্ষমতা” – “ওয়াট”(W) 
“ক্ষমতা” – “ওয়াট”(W) এর কথা পরে হবে,,,, এবার নদীতে ফিরে আসি… এবার একটু কল্পনা করুন.. নদীর প্রশস্ততা বা দুই পাড়ের পার্থক্য এবং “বিভব পার্থক্য” – “ভোল্ট”(V) এগুলো সব একি কথা….। আবার নদীর স্রোত ধারা বা পানির প্রবাহ মাত্রা এবং
“তড়িৎ প্রবাহমাত্রা” – “অ্যাম্পিয়ার”(A) সমান
কল্পনা করি । মিল গুলো খেয়াল করুন.. নদীর দুইটা পাড়ের মধ্য দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে আবার বৈদ্যুতিক ব্যবস্থার দুটি তারের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ বা চার্জ প্রবাহিত হচ্ছে……
তাহলে বিদ্যুতের দুই তার মানে নদীর দুই পাড়…..বিদ্যুতের দুই তারের পার্থক্যই হল “বিভব পার্থক্য” বা ভোল্ট(V)….. আবার নদীর দুই পাড়ের পার্থক্য হল নদীর প্রশস্ততা…. অর্থাৎ নদীর দুই পাড়=ভোল্ট(V)
তারপর বিদ্যুতে চার্জের স্রোত মানে হল নদীতে পানির স্রোত…. বিদ্যুতে চার্জের স্রোত অর্থাৎ “প্রবাহমাত্রা” বা “অ্যাম্পিয়ার”(A) =নদীতে পানির প্রবাহমাত্রা….
পার্থক্য শুধু এতটুকু… নদীর ব্যবস্থা টুকু আমরা দেখতে পাই কিন্তু বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা দেখা যায় না । এবার আপনার কল্পনা শক্তি দিয়ে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে দেখা যায় কিনা দেখুন…..
এখন প্রশ্ন ওয়াট কি….?
মোটা দাগে বলতে গেলে ওয়াট হল
ভোল্ট(V) ও অ্যাম্পিয়ার(A) এর গুণফল…
ওয়াটের আরেক নামVA…..অর্থাৎV×A ……
তবে বৈদ্যুতিক অপচয়ের কারণে VA এর 80% কে ওয়াট ধরা হয় ।
আপনি নিশ্চয় IPS দেখেছেন..(Funকরলাম)
আপনার IPS কত VA…? আমি ধরে নিলাম 600VA…তাহলে কত ওয়াট হয়…? উত্তর : 600 × 80% = 480ওয়াট….। VA মানে হল ভোল্ট,অ্যাম্পিয়ার একসাথে
। এটাকে আলাদা করে ভোল্ট বা আলাদা করে অ্যাম্পিয়ার বলা যাবে না । এটা মূলত ওয়াট বা ওয়াটের একটা রূপ…… এর পর কখনো ঝট করে বলে দিবেন না… আপনার IPS 600 ভোল্টের….. তাহলে আমার হার্টএটাক করা ছাড়া উপায় থাকবে না ।
এখন প্রশ্ন আপনার IPS এর ভোল্ট কত….? আপনার বাসায় যে সব যন্ত্রপাতি গুলো চলে যেমন ফ্যান, লাইট, ফ্রিজ, ইস্ত্রি মেশিন, মোবাইল চার্জার ইত্যাদি… সব গুলোতে 220 ভোল্ট এর প্রয়োজন হয় ।
তাহলে বলা যায় আপনার বাসার বিদ্যুৎ লাইনে 220 ভোল্ট আছে । এই যন্ত্র গুলো ভাল ভাবে চলার জন্য 220 ভোল্ট প্রয়োজন । এর বেশি হলে যন্ত্র পেট বাষ্ট হয়ে অকেজো হবে…. আর কম হলে খিদায় অকেজো
হবে । তাই বলা যায় যে আপনার IPS থেকেও 220 ভোল্ট আউটপুট হচ্ছে ।
এখন একটা মোবাইল চার্জার হাতে নিন…. ওখানে এক কোনায় ছোট্ট করে কি লিখা আছে…..?
অনেকটা এই রকম…. Input : 100-240V, 50/60Hz, 60mA
এবং Output : 5V, 1000mA…. এর অর্থ কি…?
এখানে,
Input প্রান্ত হল মোবাইল চার্জারের যে দুই পিন বৈদ্যুতিক চকেটে ঢুকানো হয় তা…. এবং 100 থেকে 240 ভোল্ট পর্যন্ত এই মোবাইল চার্জারে Input ভোল্টেজ দেওয়া যাবে (নদীর দুই পাড়ের কথা
কল্পনা করুন) ।
50/60Hz – এটা সম্পর্কে জেনেনি
Hz বা কম্পাঙ্ক :
1. প্রতি সেকেন্ডে যতগুলো পূর্ণ তরঙ্গ সৃষ্টি
হয় তাকে তরঙ্গের কম্পাঙ্ক বলে।
2. তরঙ্গ সৃষ্টি হয় কম্পনশীলবস্তু থেকে।
3. কম্পনশীল বস্তুর কম্পাঙ্ক তরঙ্গের
কম্পাঙ্কের সমান।
4. কম্পাঙ্কের একক হার্জ (Hz)।
5. স্পন্দনশীল কোনো বসতুকণা এক
সেকেন্ডে একটি পূর্ণ স্পন্দন সম্পন্ন করলে তার কম্পাঙ্ককে 1 Hz বলে।
6. একে f দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
7. কম্পাঙ্ক ও পর্যায়কালের সম্পর্ক হলো f = 1/T
অর্থাৎ 50/60Hz বলতে বোঝায় ঐ চার্জার এর ১ সেকেন্ডে ৫০ বা ৬০ টি পুর্ন স্পন্দন সম্পন্ন করবে।
60mA এর অর্থ 60 মিলি অ্যাম্পিয়ার । এটা অ্যাম্পিয়ারের ছোট একক । যে রকম 1000 মিলি লিটারে এক লিটার হয় তেমনি 1000 মিলি অ্যাম্পিয়ারে এক অ্যাম্পিয়ার হয় । Input 60mA মানে হল মোবাইল চার্জারের দুই পিন দিয়ে নদীতে
পানি প্রবাহের মত 60mA মানের চার্জ প্রবাহিত হবে ।
Output : 5V এর অর্থ হল যে জ্যাক বা পিনটি আমরা মোবাইলে ঢুকাই সেই জ্যাকের দুই তারের বিভব পার্থক্য (অনুরূপ নদীর দুই পাড়ের পার্থক্য)… । আর।1000mA এর অর্থ হলো দুই তারের মধ্যে দিয়ে বা দুই পাড়ের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত চার্জের মান 1000mA
বা 1 অ্যাম্পিয়ার ।
প্রত্যেকেরই এই বিষয় গুলো জেনে রাখা ভাল…. এই বিষয় গুলোর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আরো বড় এবং।বিষদ….. কিন্তু এটাকে সাধারণ মানুষের বুঝা বা
জানার সুবিধার্থে প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে মিল করে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে । আমার পদার্থ বিজ্ঞানের বন্ধুদেরকে এটা উৎসর্গ করলাম।

Sep 12, 2019

ভাল ফলাফল নিশ্চিত করতে হলে এ ৯ টি ধাপ অনুশীলন করতে হবে

জিনিয়াস শিক্ষার্থীর সাথে সাধারণ শিক্ষার্থীর প্রতিভার কোন পার্থক্য নাই।তা হলে,আপনি ভাল করতে পারছেন না কেন? আপনি হয়তো দেখছেন,মেধাবী শিক্ষার্থী খুব দ্রুত পড়া বুঝতে পারে কোন কঠিন অংক সহজেই সমাধান করে ফেলে এর কারণ কী? আচ্ছা তা হলে আপনি আমাকে বলুন তো,পরীক্ষার ঠিক কতদিন আগে আপনি পড়া শুরু করেন? আপনি কোন পদ্ধতিতে পড়েন? আপনি কয় ধাপে পড়া তৈরী করেন?

এই তিনটা প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন শিক্ষার্থীর বিভিন্নরকম হবে।তবে,তাদের অধিকাংশই পরীক্ষার ১ মাস থেকে ১ দিন আগে পড়া শুরু করেন তাদের পদ্ধতি হলো ঝাড়া মুখস্থ করা।আর তারা এক ধাপে বা তিন ধাপে পড়া তৈরী করেন।যেমন-


১.কিছু শিক্ষার্থী দুই ধাপে পড়েন(৫০%)

ক. তারা পাঠ্যবই বা নোটবই পড়েন


খ. পরীক্ষা দিতে চলে যান।

এদের রেজাল্ট হয় পাসফেলের মার্জিন বরাবর।

২.তিন ধাপে পড়েন(৩৫%)

ক. এরা পাঠ্যবই আর নোট বই পড়েন।

খ. কিছু প্রশ্ন মুখস্থ করেন।

গ. পরীক্ষা দিতে যান।

তারা C বা D গ্রেড পান।

৩.চার ধাপে পড়েন(১২%)

ক. এরা পাঠ্যবই আর নোটবই পড়েন।

খ. পড়া মুখস্থ করেন।

গ. বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর বাসায় লিখে প্র‌্যাকটিস করেন।

ঘ. পরীক্ষা দিতে যান।

এরা B গ্রেড স্টুডেন্ট।খুব সিরিয়াস হলে তারা  A পেয়ে যান।তা হলে নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে বাকি ৩% শিক্ষার্থী যারা নিশ্চিতভাবেই  A+ পান তারা কিভাবে পড়েন?

এরজন্য দরকার ৯টি ধাপ এবং প্রতিটি পরীক্ষার কমপক্ষে তিনমাস আগে পড়া শুরু করা।এবং ক্লাসের প্রথম দিন থেকেই পড়া শুরু করা।এখন তাহলে জানিয়ে দিচ্ছি এ ৯টি ধাপ কী কী-

ধাপঃ ১-খুবই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরী করা

বেশীরভাগ শিক্ষার্থী মনে করেন ,পড়া শুরু করে দিলেই হলো।পড়া চলতে থাকবে।এতে দেখা যায়,কিছুদিন কিংবা কয়েকঘন্টা পড়েই পড়ার কোন উৎসাহ থাকেনা।এর কারন হলো লক্ষ্যহীনতা।কাজেই,প্রথমেই আপনাকে লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করতে হবে।

আবার অনেকেই ভাবেন,ধীরে ধীরে উন্নতি করব।সামনের পরীক্ষায় ৭০,তারপরে ৮০ এভাবে বাড়াতে হবে।খুবই বাজে ধারণা। কারন তা হলে একটা পরীক্ষায় খারাপ করলেই হতাশা চলে আসবে।ধরুন,আপনি কীভাবে পড়বেন?আমি বলি আপনি সোজা অংক করবেন।

পরীক্ষায় ৫টা চ্যাপ্টার থাকলে ২টা চ্যাপ্টার বাদ দেবেন।ফলে দেখা যায় পরীক্ষায় সেই দুটা চ্যাপ্টারের প্রশ্ন আসলে চোখে অন্ধকার দেখেন।আর,লক্ষ্য যদি কম থাকে,তা হলে আপনার অসীম ক্ষমতাসম্পন্ন ব্রেন অলস বসে থাকে।তাই আপনি ৫০-এর বেশী পাবেন না।এদিকে আপনার লক্ষ্য থাকে ১০০ নম্বর পাওয়া,তা হলে আপনার ব্রেন থাকবে সজাগ ও সজীব।সে তার সমস্ত ক্ষমতা ব্যয় করবে পড়ালেখার পেছনে।কোন তথ্যই তে ছেড়ে দিতে চাইবেনা।একটা বাস্তব উদাহরণ দিই।এখনই আপনার লক্ষ্য ঠিক করুন এই ব্লগের তথ্যগুলোকে আমি সম্পূর্ণ মনে রাখব।এখন দেখুন এই লাইনটা পড়ার সময় আপনার মনোযোগ কতটা বেড়ে গেছে। লক্ষ্য ঠিক করুন যে,জরুরী তথ্যগুলোকে আপনি লালকালি দিয়ে দাগ দিয়ে রাখবেন।লক্ষ্য কিভাবে ঠিক করবেন তা নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করা হবে পরবর্তী ব্লগে।তা পড়বার আগে জেনে নিন দ্বিতীয় ধাপটি।

ধাপঃ ২-পরিকল্পনা

আপনার লক্ষ্য চমৎকার হতে পারে,তবে তা বাস্তবায়নের জন্য দরকার সঠিক পরিকল্পনা।এ বিষয়ে বিষদ জানতে পারবেন পরবর্তী ব্লগে।

ধাপঃ ৩-সবসময় সক্রিয়তা

প্রত্যেকেই লক্ষ্য আর পরিকল্পনা করতে পারেন।কিন্তু তা বাস্তবায়নে দরকার সক্রিয়তা।এ বিষয়ে বিষদ জানতে পারবেন পরবর্তী ব্লগের মোটিভেশন অধ্যায়ে।

ধাপঃ ৪-পাওয়ার রিডিং

বর্তমানে উন্নতবিশ্বের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে Power Reading কে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে।এ পদ্ধতিতে মূল তথ্যগুলোকে আলাদা করে ফেলা হয়।পরবর্তীতে আমার Power Reading ব্লগে এ সম্বন্ধে জানতে পারবেন।

ধাপঃ ৫-Super Memory

আপনারা যারা ভেবে থাকেন, মুখস্থ করা বাজে জিনিস তাদের জন্যই রয়েছে Super Memory-র নিয়মকানুন।আপনার যা মনে রাখতে হবে তাকে নানা ভাবে সাজিয়ে সমস্ত ইন্দ্রিয়ের ব্যবহার পদ্ধতি বর্ণনা করা হয়েছে আমার Super Memory সংক্রান্ত পরবর্তী ব্লগে।

ধাপঃ ৬-Mind Mapping (R)

Mind Mapping (R) এর আবিষ্কর্তা Tony Buzan.তার এ আবিষ্কার পড়ালেখায় বিপ্লব সাধন করেছে।অনেক বিদেশী বইয়ে চ্যাপ্টারের শেষে লেখা থাকে উপদেশ হিসেবে Mind Mapping (R) তৈরী করার।এর মাধ্যমে প্রায় ১০ পৃষ্ঠার তথ্যকে ১ পৃষ্ঠায় নিয়ে আসা সম্ভব। আর তা মনে রাখাও সম্ভব।মনে রাখার ক্ষমতার উপর Tony Buzan একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন প্রতিবছর।গতবছরের প্রতিযোগিতায় একটা বিষয় ছিল প্রত্যেক প্রতিযোগিকে দুমিনিট একটি হলরুমে দেখতে দেওয়া হয়।সেখানে ২৫০টি ভিন্ন আইটেম সাজানো আছে।দু মিনিট পর তাকে ১৫ মিনিট সময় দেয়া হয় Mind Mapping (R) বানানোর।গত বছরের বিজয়ী ২৪১ টি আইটেমের সাম সঠিক লিখতে পেরেছেন।এটা তৈরী করলে কোন তথ্য ভূলে যাওয়াই কঠিন।আর রিভিশন দেওয়া অরেক সহজ হয়ে যায়।Mind Mapping (R) শিখতে হলে আগের দুটো ধাপ জানতে হবে।এর বর্ণনা আছে আমার Mind Mapping (R) ব্লগে।যেটা পরবর্তীতে প্রকাশ করা হবে।

ধাপঃ ৭-মেমরীকে কাজে লাগানো

ধাপঃ ৮-পরীক্ষার প্রস্ততি

ধাপঃ ৯-পরীক্ষা দেওয়ার পদ্ধতি

আপনাকে ভাল ফলাফল নিশ্চিত করতে হলে এ ৯ টি ধাপ অনুশীলন করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে কোচিংয়ের বাইরেও ৮ ঘন্টা পড়তে হবে

মো. ইকবাল হোসেন, বশেমুরবিপ্রবি: অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হচ্ছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা। উচ্চশিক্ষা প্রত্যাশী শিক্ষার্থীর তুলনায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আসন সংখ্যা কম থাকায় ভর্তি পরীক্ষা পরিণত হয়েছে ভর্তি যুদ্ধে। এই যুদ্ধে জয়ী হয়ে অনেকে যেমন তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছে যায়, তেমনি যুদ্ধে হেরে গিয়ে স্বপ্নও বিসর্জন দিতে হয় অনেককে।

কেউ প্রথমবারেই সফলতা পায় আবার কারো সফলতার জন্য করতে হয় দ্বিতীয় চেষ্টা। এসময় তাদের মোকাবেলা করতে হয় হতাশাসহ অনেক পারিপার্শ্বিক সমস্যার। এমনই একজন শিক্ষার্থী মোঃ জোবায়দুল ইসলাম লিয়ন। ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে আসন সংখ্যায় দেশের চতুর্থ বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয় গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছিলেন এই শিক্ষার্থী। বর্তমানে অধ্যয়ন করছেন গণিত বিভাগে।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছুদের জন্য নিজের ভর্তি যুদ্ধ জয়ের গল্প তুলে ধরেছেন লিয়ন, সেই সঙ্গে দিয়েছেন কিছু পরামর্শও। স্কুল শিক্ষক বাবা এবং গৃহিণী মায়ের সন্তান লিয়ন ছোটোবেলা থেকেই পড়ালেখায় ছিলেন বেশ মনোযোগী। ধারাবাহিকভাবে ভালো ফলাফলও অর্জন করছিলেন। এসএসসি এবং এসএসসিতে জিপিএ-৫ অর্জনের পর স্বপ্ন দেখছিলেন দেশের কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করার। কিন্তু মানুষ মাত্রই স্বপ্ন পূরণে বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়। লিয়নের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
ঢাকায় কোচিং এ ভর্তির পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সুস্থ হয়ে উঠতে সময় লাগে প্রায় দুই মাস। ততদিনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। লিয়নের পক্ষে এই স্বল্প সময়ে পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ সম্ভব হয়নি। ফলে হেরে যান প্রথমবারের ভর্তি যুদ্ধে। ফিরে যান নিজ শহর কুড়িগ্রামে। তবে প্রথমবার হেরে গেলেও লিয়ন তার স্বপ্নকে হারিয়ে যেতে দেননি। দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম শুরু করেন। আর শিগগিরই পরিশ্রমের ফলও পান। বশেমুরবিপ্রবির ‘বি’ ইউনিটে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থীকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন।
২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য লিয়নের পরামর্শ, কোচিংয়ের বাইরেও প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পড়তে হবে। প্রতিটি বিষয়ের বেসিক বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে এবং বিস্তারিতভাবে জানতে হবে। লিয়ন মনে করেন ভর্তি পরীক্ষায় একটি নাম্বারও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই কোনো বিষয়কেই অবহেলা করা যাবে না। এর পাশাপাশি নেগেটিভ মার্কিং সম্পর্কেও সচেতন থাকার পরামর্শ দেন এই শিক্ষার্থী।
সবশেষে তিনি জোর দিয়েছেন আত্মবিশ্বাস ও পরিবারের সমর্থনের প্রতি। তার মতে ভর্তি পরীক্ষায় সফলতার জন্য ভালো প্রস্তুতির পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস এবং পরিবারের সমর্থন অত্যন্ত প্রয়োজন। বিশেষ করে যারা প্রথম বার ব্যর্থ হয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে তাদের জন্য আত্মবিশ্বাস এবং পরিবারের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হতাশাই সফলতার পথে বড় বাঁধা হয়ে দাড়ায়।
বর্তমানে গণিত নিয়ে স্নাতক করলেও লিয়নের স্বপ্ন পড়াশোনা শেষ করে পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করার। নিজের মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করে দেশ ও জনগণের সেবায় নিয়োজিত করতে চান নিজেকে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন: ফাতেমা-তুজ জিনিয়া, শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ।

বই কেন পড়া উচিত আমাদের জেনে নিন (বিস্তারিত দেখুন)

বিসমিল্লাহির রাহমানি রাহিম


আসসালামু আলাইকুম , আশাকরি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন।
আজকে লিখতে বসেছি বই পড়া কেনো উচিত আমাদের এই বিষয় নিয়ে।
আশাকরি একটু হলেও ভালো লাগবে লেখাটি আপনার।
এবং নিজ জীবনে বই পড়ার আগ্রহ বাড়বে।
একটি গবেষণায় বলা হয়, দীর্ঘ সময়ের বই পড়ার অভিঙ্গতা বৃদ্ধ বয়সে মস্তিস্ককে সচল রাখে। একটা বই পড়ে শেষ করার পরে বহুদিন প্রযন্ত বইটির ইতিবাচক প্রভাব গুলো মানু‌ষের মস্তিস্কে থেকে যায় এবং ওই মানুষটি ভালো কাজ করার ক্ষমতা পায়।
কোনো ব্যাক্তি যদি বিভিন্ন ধরনের বই পড়ে তাহলে ওই ব্যাক্তির মধ্য ভাষাগত দক্ষতা বেড়ে যায়। এবং ওই ব্যক্তির কথা বলার ভঙ্গি এবং লেখার মধ্যে একটা আকর্ষণীয় ভাব এসে পড়ে।
আর এজন্যই দেখবেন যারা লেখালেখি করে বা নিজেকে ভিন্ন রুপে সবার সামনে উপস্থাপন করতে চায় তারা অনেক বই পড়ে মনোযোগ সহকারে।
মানুষ নিজেকে অপরের কাছে প্রকাশ করে কিন্তু কথাবার্তার মাধ্যমে এবং ওই কথাবার্তা শুনেই অন্যরা ওই ব্যাক্তিকে মেপে ফেলে যা ব্যাক্তিটির মধ্যে কতটুকু জ্ঞানের আলো আছে।
নিজেকে সুন্দর ভাবে অন্যর কাছে প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করে রাখা একান্তই প্রয়োজনীয়, আর এর জন্য বই পড়া দরকার।
সবাইকে ই বিষন্নতা নামক রোগটি আক্রমণ করে মাঝে মাঝে, বিষন্নতা আসলে কোনো ব্যাক্তির মধ্য তখন ওই ব্যাক্তিটির কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস পায়, আবার কিছু গাড়তেড়া লোকের বিষন্নতা আসলে কাজ করার ক্ষমতা বেড়ে যায়।
সবাই তো আর এক না, তাই তাদের ক্ষমতা ভিন্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক।
এই বিষন্নতা দূর করার জন্য বই পড়া আমি মনে বড় ঔষধ।
বই পড়লে কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পায়, একজন লেখকের একটা বই পড়লে লেখার মাধ্যমে লেখক তার নিজ কল্পনার দুনিয়ায় নিয়ে যায়, এবং সেখান থেকে আমাদের কল্পনা শক্তি বৃদ্ধি পায়।
বই পড়লে একটা মানুষের বাস্তব দুনিয়া সম্পর্কে তার চোখ খুলে যায়।
হয়তো স্পষ্ট করে বুঝাতে আমি ব্যার্থ হয়েছি, একটা মানুষ যদি বই পড়ে তাহলে ওই ব্যাক্তিটি আমাদের পৃথিবীর মানুষগুলো সম্পর্কে খুব ভালো করে চিনতে পারবে।
বই ওই মানুষটিকে একজন ভালো বন্ধুর ধরন কেমন হয়, খারাপ বন্ধু ধরন, কথা বার্তা কেমন হয় তা চিনিয়ে দেয় ; এর ফলে নিজ জীবনে খারাপ লোকদের থেকে এড়িয়ে চলা শিক্ষা দেয় বই।
আমরা অনেকেই আনন্দ খুজেঁ বেড়াই, এই আনন্দের জন্যে বেশী কিছুর প্রয়োজন হয়না, একটা বই ই যথেষ্ট।
প্রিয় লেখকের একটা বই নিয়ে খুলে কয়েক লাইন পড়ুন দেখবেন কত্তো ভালো লাগবে।
#হয়তো তেমন সাজিয়ে গুছিয়ে ভালোভাবে লিখতে পারিনি।
তবে অল্প সময়ের মধ্য ভালো করে লেখার চেষ্টা করেছি।

Sep 11, 2019

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২০এ যেসব ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে দেখে নিন

এইচএসসি পরীক্ষা ২০১৯ এ যেসব ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে দেখে নিন এখানে থেকে। আগামী ১ এপ্রিল ২০২০ থেকে শুরু হবে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। প্রতি বছরই পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থীরা ক্যালকুলেটর নিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানির স্বীকার হয়ে থাকে।
যাতে পরীক্ষার্থীরা এ বছর কোন প্রকার হয়রানির স্বীকার না হয় তাই ঢাকা বোর্ড একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২০ এ যেসব ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে তার বিজ্ঞপ্তি

এইচএসসি পরীক্ষা ২০২০ এ যেসব ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে দেখে নিন


Mar 9, 2019

পড়তে বসলেই ঘুম আসে এই ট্রিক গুলো ফলো করলে অনেক কাজে আসবে।

কিছুদিন পরেই আপনার পরীক্ষা? পড়তে বসলেই ঘুম আসে ? সমাধান জেনে নিন
কিছুদিন পরেই আপনার পরীক্ষা? পড়তে বসলেই ঘুম আসে ? সমাধান জেনে নিন  ১।উজ্জ্বল আলোয় পড়তে বসুন । দিনের বেলা যথেষ্ট প্রাকৃতিক আলোর জন্য জানালা এবং দরজা খোলা রাখুন। রাতের বেলা টেবিল ল্যাম্প ইউজ করতে পারেন। কম আলোয় কখনো পড়বেন না। কম আলোতে পড়লে আমি ভুতের স্বপ্ন দেখি আবার। :p  ২। কোনো কিছুতে ১০-১৫ মিনিটের বেশি একটানা মনযোগ ধরে রাখা কঠিন । সেটা বিরক্তিকর হলে আরও কঠিন। ১০ মিনিট পর পর ১-২ মিনিটের ব্রেক দিন। দিনের বেলা হলে বেলকোনির আলো বাতাস খেয়ে আসুন। রাতের বেলা হাত এবং মাথা ঘুরিয়ে নাড়ুন। এবং বেশি বেশি পানি পান করুন।  ৩।অবশ্যই বিছানায় পড়তে বসবেন না। পুরো শরীর রেস্টে চলে গেলে বাকি মস্তিষ্ক আর চোখেরও রেস্ট নিতে ইচ্ছে করবে। এজন্য চেয়ার টেবিলে বসে পড়ুন।  ৪। শব্দ করে পড়লে ঘুম আসার সম্ভাবনা একবারেই কমে যাবে। মনে মনে পড়তে গেলে ঘুম বেশি আসে। যদিও জোড়ে পড়লে পড়ার স্প্রীড কমে যায়।  ৫।সারাদিন ঘরে বসে থাকবেন না । মাঝে মাঝে বাইরে বের হোন প্রাকৃতিক আলো বাতাসে।  ৬।পড়া শুরু করার আগে নিয়মিত চা কফি খান। প্রয়োজনে অপ্রোয়োজনে বেশি চা কফি খেলে ইফেক্ট কমে যেতে পারে।  ৭। মোটিভেশন অনেক দরকার । আপনি কেন পড়বেন বা পড়ছেন , সেটা মাথায় এনে প্রচণ্ড উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে পড়ুন। তাই বলে সারাদিন পড়া রেখে মোটিভেশনাল ভিডিও দেখলে কাজ হবে না। ওভার ডোজ হয়ে গেলে তো সমস্যা ভাই।  সর্বশেষ , পড়াশোনা মানসিক সাধনার ব্যাপার। ভোগের জিনিষ থেকে নিজেকে দূরে রেখে চেয়ার টেবিলে বই নিয়ে বসে থাকা সহজ ব্যাপার নয়।  এত সহজ এবং আনন্দদায়ক হলে সবাই ভাল রেজাল্ট করতো। সেক্ষেত্রে এর কোনো বিষেশত্ব থাকতো না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে পড়বেন , আপনি সফল হবেন। না পারলে কোনো উপদেশই আপনার জন্য কাজে আসবে না । শুভকামনা রইল এইচএসসি/Hsc পরীক্ষার্থীদের প্রতি৷
পড়তে বসলেই ঘুম আসে সমাধান জেনে নিন

১।উজ্জ্বল আলোয় পড়তে বসুন । দিনের বেলা যথেষ্ট প্রাকৃতিক আলোর জন্য জানালা এবং দরজা খোলা রাখুন। রাতের বেলা টেবিল ল্যাম্প ইউজ করতে পারেন। কম আলোয় কখনো পড়বেন না। কম আলোতে পড়লে আমি ভুতের স্বপ্ন দেখি আবার। :p

২। কোনো কিছুতে ১০-১৫ মিনিটের বেশি একটানা মনযোগ ধরে রাখা কঠিন । সেটা বিরক্তিকর হলে আরও কঠিন। ১০ মিনিট পর পর ১-২ মিনিটের ব্রেক দিন। দিনের বেলা হলে বেলকোনির আলো বাতাস খেয়ে আসুন। রাতের বেলা হাত এবং মাথা ঘুরিয়ে নাড়ুন। এবং বেশি বেশি পানি পান করুন।

৩।অবশ্যই বিছানায় পড়তে বসবেন না। পুরো শরীর রেস্টে চলে গেলে বাকি মস্তিষ্ক আর চোখেরও রেস্ট নিতে ইচ্ছে করবে। এজন্য চেয়ার টেবিলে বসে পড়ুন।

৪। শব্দ করে পড়লে ঘুম আসার সম্ভাবনা একবারেই কমে যাবে। মনে মনে পড়তে গেলে ঘুম বেশি আসে। যদিও জোড়ে পড়লে পড়ার স্প্রীড কমে যায়।

৫।সারাদিন ঘরে বসে থাকবেন না । মাঝে মাঝে বাইরে বের হোন প্রাকৃতিক আলো বাতাসে।

৬।পড়া শুরু করার আগে নিয়মিত চা কফি খান। প্রয়োজনে অপ্রোয়োজনে বেশি চা কফি খেলে ইফেক্ট কমে যেতে পারে।

৭। মোটিভেশন অনেক দরকার । আপনি কেন পড়বেন বা পড়ছেন , সেটা মাথায় এনে প্রচণ্ড উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে পড়ুন। তাই বলে সারাদিন পড়া রেখে মোটিভেশনাল ভিডিও দেখলে কাজ হবে না। ওভার ডোজ হয়ে গেলে তো সমস্যা ভাই।

সর্বশেষ , পড়াশোনা মানসিক সাধনার ব্যাপার। ভোগের জিনিষ থেকে নিজেকে দূরে রেখে চেয়ার টেবিলে বই নিয়ে বসে থাকা সহজ ব্যাপার নয়।

এত সহজ এবং আনন্দদায়ক হলে সবাই ভাল রেজাল্ট করতো। সেক্ষেত্রে এর কোনো বিষেশত্ব থাকতো না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে পড়বেন , আপনি সফল হবেন। না পারলে কোনো উপদেশই আপনার জন্য কাজে আসবে না । শুভকামনা রইল এইচএসসি/Hsc পরীক্ষার্থীদের প্রতি৷

Feb 25, 2019

সৃজনশীল প্রশ্নে কিভাবে ১০ এ ১০ নম্বর পাওয়া সম্ভব

সৃজনশীল প্রশ্নে কিভাবে ১০ এ ১০ নম্বর পাওয়া সম্ভব

আমদের মধ্যে এখনো অনেকেই জানিনা যে সৃজনশীল কিভাবে লিখলে ভাল মার্কস পাওয়া সম্ভব। কিন্তু এখন তোমাদের পুরো ৭০ মার্কস-ই সৃজনশীলে। তাই আমি মনে করি সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার নিয়মটা আমাদের জানা উচিত।
অনেক সময় দেখা যায় ৭ টা সৃজনশীল আসার পর আমরা অনেকেই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর করতে পারিনা এর একমাত্র কারন হচ্ছে নিয়মের বাহিরে গিয়ে লিখা।
যার কারনে দেখা যায় প্রথমে অনেক বড় বড় করে লিখে শেষে এসে সময় থাকেনা।
এজন্য প্রথমেই আমাদেরকে আগে টাইম ম্যানেজমেন্ট করে নিতে হবে।
আমরা প্রতিটা প্রশ্নের জন্য ২০ মিনিট করে নিবো।
প্রতিটি প্রশ্নের জন্য সময় ব্যয় করবে:
  • (ক+খ) ৫ মিনিট
  • (গ) ৬ মিনিট এবং
  • (ঘ) ৯ মিনিটে লিখা শেষ করতে হবে।
আর লিখার দৈর্ঘ্যটা হবেঃ
  • ক+খ এর জন্য প্রথম পৃষ্ঠা অর্থাৎ এক পৃষ্ঠা।
  • গ হবে এক পৃষ্ঠা+অপর পৃষ্ঠার ওয়ান ফোর্থ। আর
  • ঘ হবে ওই পৃষ্ঠা শেষ করা এবং বাকি আরেক পৃষ্ঠা।
মোটকথা একটা সৃজনশীল এর জন্য দুই পাতার বেশী কোনোভাবেই নেয়া যাবেনা।
অনেকে বলেছো যে ভাইয়া লাইন হিসেব করে লিখবো কিনা। তাদেরকে বলবো নাহ্
লাইন হিসেব করে লিখার কোনোই দরকার নেই। এমন কোনো টিচার নেই যার কিনা সময় আছে তুমি কত লাইন লিখলা তা গুনে দেখার। তাই বলবো লাইন হিসেব করে লিখার কোনোই দরকার নেই।
তোমরা কি জানো সৃজনশীলে ভাল মার্কস কিসের ওপর ডিপেন্ডেন্ট!!!
১.টিচার ফার্স্টেই দেখবেন তুমি সৃজনশীলের নিয়ম ফলো করে লিখেছো কিনা
২.তোমার লিখার কোয়ালিটি (সুন্দর হাতের লিখা)
৩.সবার শেষে যেটি দেখে তা হলো তুমি কতটুকু লিখলা(আমি বানিয়ে বেশী লিখার কথা বলিনি কিন্তু, প্রয়োজনীয় পরিমানে লিখার কথা বলছি)
যাক এতক্ষণ আমরা লিখার সাধারন নিয়মগুলো বললাম। এবার আমরা আসি ক+খ+গ+গ আমরা কিভাবে লিখবো।
#ক :
আমরা জানি এটা হলো জ্ঞানমূলক প্রশ্ন।যাতে ১মার্কস । তুমি এখানে জাস্ট জ্ঞানটা লিখতে পারলেই টিচার তোমাকে ১ দিতে বাধ্য। সেটা যদি এক শব্দেও লিখতে পারো তাহলেও। অনেকে আছে ১ মার্কসের জন্য লিখে ২-৩ লাইন। নো নীড…
#খ :
এটা হচ্ছে অনুধাবনমূলক। মার্কস ২।এটা লিখার পার্ট হবে ২ টা। একটা পার্ট হলো জ্ঞানের আর অপর পার্টটা হলো অনুধাবনের। তুমি যদি এর একটা লিখতে পারো বাকিটা না হয় তাইলে তুমি ১ মার্কস পাবে। পুরো ২ পাবেনা। যার দুটি পার্ট ই হবে সেই শুধু পুরো ২ পাবে।এই পার্টদুটো কিন্তু আলাদা করে লিখতে হবে।
প্রশ্নে যেটা বলবে ওটার উত্তরটা জাস্ট ১ লাইনে লিখবা এটাই জ্ঞান।
আর অনুধাবনে এসে তুমি যে
জ্ঞানটা লিখলা এটাকে জাস্ট ৩-৪ লাইনে ব্যাখ্যা করবা। হয়ে গেলো দুটো পার্ট।ঠিকমতো লিখতে পারলে পেয়ে যাবে পুরো।
# গ:
এটা হচ্ছে প্রয়োগমূলক।মার্কস হলো ৩।লিখতেও হবে ৩ টা পার্টে।
এবার আসি কিভাবে লিখবে এই ৩ টা পার্ট।
প্রথম পার্টটা হবে জ্ঞান। অর্থাৎ গ এ যা বলবে ওটার উত্তরটা জাস্ট একবাক্যে লিখে দিবে।মনে করো প্রশ্নে থাকলো যে উদ্দীপকের রহিমের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের গল্পটির কার সাথে/কোন দিক দিয়ে সাদৃশ্য আছে।এখানে জ্ঞানটা হবে উদ্দীপকের রহিমের সাথে গল্পের করিমের মিল রয়েছে। এটাই হলো জ্ঞান।
আচ্ছা এবার আসি গ এর অনুধাবন পার্টে এখানে এসে এমন কিছু কথা লিখবা যা তোমার গল্পেও নেই বা উদ্দীপকেও নেই বাট দুটোই রিলেটেড। এটা জাস্ট ২-৩ লাইনে লিখে ফেলবা।হয়ে গেল অনুধাবন।
লাস্টে হলো গ এর প্রয়োগ পার্ট। এ পার্টে এসে তুমি দেখাবা যে উদ্দীপকের করিমের সাথে তোমার গল্পের রহিমের কিভাবে মিল আছে।আগে লিখবা উদ্দীপকের কথা এরপর লিখবা গল্পের কথা।
ব্যাস্ হয়ে গেল গ।প্রতিটি পার্ট তুমি সুন্দরভাবে লিখতে পারলে পেয়ে যাবে পুরো ৩।
# ঘ:
এটা হলো উচ্চতর দক্ষতামূলক।যাতে মার্কস হলো ৪।পার্টও হবে ৪ টা।
প্রথম পার্টটা হলো জ্ঞানের।মানে প্রশ্নে যা থাকবে তা তুমি মেনে নিলেই হয়ে যাবে।মনে করো থাকলো যথার্থ কিনা/একমত কিনা।তুমি জাস্ট মেনে নিবে বা না মনে হলে মেনে নিবেনা।উত্তরটা হবে উক্তিটি লিখে লিখবা যথার্থ /যথার্থ নয়।ব্যাস হয়ে গেলো জ্ঞান।
এবার আসি ঘ এর অনুধাবন।এখানে তুমি জাস্ট এমন কিছু কথা লিখবা যা উদ্দীপক/গল্পে/প্রশ্নে থাকবে না বাট এই রিলেটেড হবে।হয়ে গেলো অনুধাবন।সাবধান গ এর অনুধাবনের কথাগুলো যেন রিপিট না হয়।
এবার ঘ এর প্রয়োগ পার্ট। এ পার্টে এসে তুমি দেখাবা যে উদ্দীপকের সাথে তোমার গল্পটা কিভাবে মিল বা যথার্থ বা তুমি কেন একমত।আগে লিখবা উদ্দীপকের কথা এরপর লিখবা গল্পের কথা।
আমি এখানে যথার্থ/একমতের কথা বললাম এর মানে কিন্তু এই না যে সব প্রশ্নেই এটা থাকবে।যেখানে যা থাকবে ওখানে ওভাবেই লিখবা।শেষ হলো প্রয়োগ পার্ট।
সবশেষ পার্টটা হলো উচ্চতর দক্ষতার।
তোমরা হয়তো ভাবছো এটা অনেক বড় হবে তাইনা!!
বাট নট
এটা হবে আরো সবার চেয়ে ছোট।মানে তুমি ৩ টা পার্টে কি লিখলা তার সমাপ্তি টানবা এখানে।যেমন বলবা যে অতএব বলতে পারি যে এই উক্তিটি যথার্থ।ব্যাস্ শেষ হয়ে গেলো।
এভাবে তুমি যদি সবগুলো প্রশ্ন পার্ট বাই পার্ট লিখতে পারো টিচার তোমাকে মার্কস দিতে বাধ্য।
তবে তোমরা মনে রাখবে প্রত্যেকটা প্রশ্নেরই জ্ঞানটা ঠিক লিখবে কারন টিচার খাতা দেখার সময় তোমার সবগুলো উত্তর পড়ে দেখবে না। সে দেখবে যে স্টুডেন্ট জ্ঞানটা ঠিকমতো লিখতে পারলো কিনা। যদি দেখে যে সঠিক লিখছে তাহলে ওটার ওপর ডিপেন্ড করেই মার্কস দিয়ে দিবে।
অনেকে বলতে পারো ভাই,এতো কিছু কি মেইনটেইন করে লিখা যায় নাকি!! বা অনেকে বলতে পারো প্রথমটা এরকম লিখলে লাস্টে আর নিয়ম মেনে লিখতে পারিনা।
আমি তোমাদেরকে বলবো,শোনো ভালো মার্কস পেতে হলে একটু কষ্ট তো করতেই হবে। নিয়ম মেনে লিখতে হবে। তাহলেই শুধু ভাল মার্কস পাবে তুমি। আর এখানেই ভাল এবং খারাপ স্টুডেন্টের পার্থ্ক্য।
সবাই ই তো গধবাঁধা লিখে যায়। তুমি একটু আলাদাভাবে লিখেই দেখোনা!!!
টিচার তোমাকে আলাদাভাবে জাজ করতে বাধ্য থাকবে!!

HSC & DIBS পরিক্ষা ২০১৯ এর রুটিন নিয়ে নিন।।

Hsc rotune 2019,hsc rotune

২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার সময়সূচী প্রকশ করা হয়েছে। ২০১৯ সালের ৮টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ০১/০৪/২০১৯ তারিখ সোমবার থেকে সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।

Hsc rotune 2019,hsc rotune

HSC rotune 2019


এইচএসসি সমমান পরীক্ষা ২০১৯ এর নির্দেশনাঃ

 এবারও শুরুতে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) অংশ এবং পরে রচনামূলক অংশের পরীক্ষা হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার সময় আড়াই ঘণ্টা। এমসিকিউ এবং সৃজনশীল অংশের মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।

যেসব বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা রয়েছে সেগুলোর ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী পরীক্ষার সময় ২৫ মিনিট এবং সৃজনশীল অংশের জন্য দুই ঘণ্টা ৩৫ মিনিট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরীক্ষার্থীরা সাধারণ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। তবে কোনো সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসি জনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।


বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় ও পরীক্ষার কক্ষে অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে।