সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ হচ্ছে মঙ্গল গ্রহ। পৃথিবী থেকে অনেকটা লাল দেখানোর
কারণে এর অপর নাম হচ্ছে লাল গ্রহ। মঙ্গল সৌর জগতের শেষ পার্থিব গ্রহ। অর্থাৎ এরও পৃথিবীর মত ভূ-ত্বক রয়েছে। এর অতি ক্ষীণ বায়ুমণ্ডল রয়েছে, এর ভূ-ত্বকে রয়েছে চাঁদের মত অসংখ্য
খাদ, আর পৃথিবীর মত আগ্নেয়গিরি, মরুভূমি এবং মেরুদেশীয় বরফ। সৌর
জগতের সর্ববৃহৎ পাহাড় এই
গ্রহে অবস্থিত। এর নাম
অলিম্পাস মন্স। সর্ববৃহৎ গভীর
গিরিখাতটিও এই গ্রহে যার
নাম ভ্যালিস মেরিনারিস।
মঙ্গলের ঘূর্ণন কাল এবং ঋতু
পরিবর্তনও অনেকটা পৃথিবীর মত।
মঙ্গল গ্রহের বিবরণঃ
হাবল মহাকাশ দূরবীন থেকে দেখা মঙ্গল
১৯৬৫ সালে মেরিনার ৪
মহাকাশযান প্রথমবারের মত
মঙ্গল গ্রহ অভিযানে যায়। এই
অভিযানের পর থেকে অনেকেই ধারণা করে আসছিলেন যে মঙ্গলে তরল
পানির অস্তিত্ব আছে। মঙ্গল
থেকে পাওয়া আলো এবং
আঁধারের তরঙ্গের মধ্যে পর্যাবৃত্ত পরিবর্তন
পর্যবেক্ষণ করে এই ধারণা
করা হয়। বিশেষত মঙ্গলের
মেরু অঞ্চল থেকে এ ধরণের
পরিবর্তন চোখে পড়ে, যা
মহাসাগর বা জলাশয়ের প্রমাণ হিসেবে অনেকেই গ্রহণ করেছিল।
ভৌত বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
মঙ্গলের ব্যাসার্ধ্য পৃথিবীর অর্ধেক এবং ভর পৃথিবীর এক দশমাংশ। এর ঘনত্ব পৃথিবী
থেকে কম এবং ভূপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল পৃথিবীর শুষ্ক ভূমির মোট ক্ষেত্রফল থেকে
সামান্য কম। মঙ্গল বুধ গ্রহ থেকে বড় হলেও বুধের ঘনত্ব মঙ্গল থেকে বেশী। এর ফলে বুধের পৃষ্ঠতলের অভিকর্ষীয়
শক্তি তুলনামূলকভাবে বেশী। মঙ্গল দেখতে
অনেকটা লাল রঙের কমলার মত। এর কারণ মঙ্গলের পৃষ্ঠতলে প্রচুর পরিমাণে
আয়রন অক্সাইডের উপস্থিতি। এই যৌগটিকে সাধারণভাবে রাস্ট বলা হয়।
ভূ-তত্ত্ব: মঙ্গলের ভূ-তত্ত্ব মঙ্গলের পৃষ্ঠ মূলত ব্যাসল্ট দ্বারা গঠিত। এর কক্ষীয়
বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষন এবং প্রচুর পরিমাণ
মঙ্গলীয় উল্কা নিয়ে গবেষণা করে এই তথ্য
নিশ্চিত করা হয়েছে। কয়েকটি গবেষণায়
প্রমাণিত হয়েছে মঙ্গলের কিছু কিছু অংশে ব্যাসল্টের চেয়ে সিলিকা জাতীয়
পদার্থ বেশি রয়েছে। এই
অঞ্চলটি অনেকটা পৃথিবীর এন্ডেসাইট (এক ধরণের আগ্নেয় শীলা) জাতীয়
পাথরের মত। এই পর্যবেক্ষণগুলোকে সিলিকা কাচের মাধ্যমেও ব্যাখ্যা
করা যেতে পারে। পৃষ্ঠের অনেকটা অংশ সূক্ষ্ণ আয়রন অক্সাইড যৌগ দ্বারা
আবৃত। ধূলিকণা নামে পরিচিত এই যৌগটি অনেকটা ট্যালকম পাউডারের মত। মার্স পাথফাইন্ডার কর্তৃক গৃহীত ভূমি
আচ্ছাদনকারী ককটি শিলার পৃষ্ঠতলের
চিত্র —
মঙ্গলের কোন অভ্যন্তরীন চৌম্বক ক্ষেত্র নেই। কিন্তু কিছু পর্যবেক্ষণে দেখা
গেছে এর ভূ-ত্বকের কিছু
অংশ চুম্বকায়িত হয়ে আছে।
চুম্বকীয়ভাবে susceptible
খনিজ পদার্থের কারণে সৃষ্ট
এই চৌম্বকত্বকে প্যালিওম্যাগনেটিজ্ম বলা
হয়। এই প্যালিওম্যাগনেটিজমের
ধরন অনেকটা পৃথিবীর
মহাসাগরীয় গর্ভতলে প্রাপ্ত
অলটারনেটিং ব্যান্ডের
মত। এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে অধ্যয়ন এবং
মার্স গ্লোবাল সার্ভেয়ারের
সাহায্যে বিস্তর গবেষণা
চালানোর মাধ্যমে ১৯৯৯
সালে একটি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা
লাভ করে যা ২০০৫ সালের
অক্টোবরে পুনরায় পরীক্ষীত
হয়। এই তত্ত্ব মতে
পর্যবেক্ষণকৃত ব্যান্ডগুলো হল মঙ্গলে
প্লেট শিলাসরণ ভূ- গঠনপ্রণালীর
একটি নিদর্শন। এ ধরণের ভূ-
গঠনপ্রণালী ৪ বিলিয়ন বছর
পূর্ব পর্যন্ত মঙ্গলে বিদ্যমান
ছিল। কিন্তু ৪ বিলয়ন বছর
আগে গ্রহীয় ডায়নামো
বিকল হয়ে পড়ায় চৌম্বক
ক্ষেত্র অপসারিত হয়ে যায়।
কারণে এর অপর নাম হচ্ছে লাল গ্রহ। মঙ্গল সৌর জগতের শেষ পার্থিব গ্রহ। অর্থাৎ এরও পৃথিবীর মত ভূ-ত্বক রয়েছে। এর অতি ক্ষীণ বায়ুমণ্ডল রয়েছে, এর ভূ-ত্বকে রয়েছে চাঁদের মত অসংখ্য
খাদ, আর পৃথিবীর মত আগ্নেয়গিরি, মরুভূমি এবং মেরুদেশীয় বরফ। সৌর
জগতের সর্ববৃহৎ পাহাড় এই
গ্রহে অবস্থিত। এর নাম
অলিম্পাস মন্স। সর্ববৃহৎ গভীর
গিরিখাতটিও এই গ্রহে যার
নাম ভ্যালিস মেরিনারিস।
মঙ্গলের ঘূর্ণন কাল এবং ঋতু
পরিবর্তনও অনেকটা পৃথিবীর মত।
মঙ্গল গ্রহের বিবরণঃ
হাবল মহাকাশ দূরবীন থেকে দেখা মঙ্গল
১৯৬৫ সালে মেরিনার ৪
মহাকাশযান প্রথমবারের মত
মঙ্গল গ্রহ অভিযানে যায়। এই
অভিযানের পর থেকে অনেকেই ধারণা করে আসছিলেন যে মঙ্গলে তরল
পানির অস্তিত্ব আছে। মঙ্গল
থেকে পাওয়া আলো এবং
আঁধারের তরঙ্গের মধ্যে পর্যাবৃত্ত পরিবর্তন
পর্যবেক্ষণ করে এই ধারণা
করা হয়। বিশেষত মঙ্গলের
মেরু অঞ্চল থেকে এ ধরণের
পরিবর্তন চোখে পড়ে, যা
মহাসাগর বা জলাশয়ের প্রমাণ হিসেবে অনেকেই গ্রহণ করেছিল।
মঙ্গলের ব্যাসার্ধ্য পৃথিবীর অর্ধেক এবং ভর পৃথিবীর এক দশমাংশ। এর ঘনত্ব পৃথিবী
থেকে কম এবং ভূপৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল পৃথিবীর শুষ্ক ভূমির মোট ক্ষেত্রফল থেকে
সামান্য কম। মঙ্গল বুধ গ্রহ থেকে বড় হলেও বুধের ঘনত্ব মঙ্গল থেকে বেশী। এর ফলে বুধের পৃষ্ঠতলের অভিকর্ষীয়
শক্তি তুলনামূলকভাবে বেশী। মঙ্গল দেখতে
অনেকটা লাল রঙের কমলার মত। এর কারণ মঙ্গলের পৃষ্ঠতলে প্রচুর পরিমাণে
আয়রন অক্সাইডের উপস্থিতি। এই যৌগটিকে সাধারণভাবে রাস্ট বলা হয়।
বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষন এবং প্রচুর পরিমাণ
মঙ্গলীয় উল্কা নিয়ে গবেষণা করে এই তথ্য
নিশ্চিত করা হয়েছে। কয়েকটি গবেষণায়
প্রমাণিত হয়েছে মঙ্গলের কিছু কিছু অংশে ব্যাসল্টের চেয়ে সিলিকা জাতীয়
পদার্থ বেশি রয়েছে। এই
অঞ্চলটি অনেকটা পৃথিবীর এন্ডেসাইট (এক ধরণের আগ্নেয় শীলা) জাতীয়
পাথরের মত। এই পর্যবেক্ষণগুলোকে সিলিকা কাচের মাধ্যমেও ব্যাখ্যা
করা যেতে পারে। পৃষ্ঠের অনেকটা অংশ সূক্ষ্ণ আয়রন অক্সাইড যৌগ দ্বারা
আবৃত। ধূলিকণা নামে পরিচিত এই যৌগটি অনেকটা ট্যালকম পাউডারের মত। মার্স পাথফাইন্ডার কর্তৃক গৃহীত ভূমি
আচ্ছাদনকারী ককটি শিলার পৃষ্ঠতলের
চিত্র —
মঙ্গলের কোন অভ্যন্তরীন চৌম্বক ক্ষেত্র নেই। কিন্তু কিছু পর্যবেক্ষণে দেখা
গেছে এর ভূ-ত্বকের কিছু
অংশ চুম্বকায়িত হয়ে আছে।
চুম্বকীয়ভাবে susceptible
খনিজ পদার্থের কারণে সৃষ্ট
এই চৌম্বকত্বকে প্যালিওম্যাগনেটিজ্ম বলা
হয়। এই প্যালিওম্যাগনেটিজমের
ধরন অনেকটা পৃথিবীর
মহাসাগরীয় গর্ভতলে প্রাপ্ত
অলটারনেটিং ব্যান্ডের
মত। এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে অধ্যয়ন এবং
মার্স গ্লোবাল সার্ভেয়ারের
সাহায্যে বিস্তর গবেষণা
চালানোর মাধ্যমে ১৯৯৯
সালে একটি তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা
লাভ করে যা ২০০৫ সালের
অক্টোবরে পুনরায় পরীক্ষীত
হয়। এই তত্ত্ব মতে
পর্যবেক্ষণকৃত ব্যান্ডগুলো হল মঙ্গলে
প্লেট শিলাসরণ ভূ- গঠনপ্রণালীর
একটি নিদর্শন। এ ধরণের ভূ-
গঠনপ্রণালী ৪ বিলিয়ন বছর
পূর্ব পর্যন্ত মঙ্গলে বিদ্যমান
ছিল। কিন্তু ৪ বিলয়ন বছর
আগে গ্রহীয় ডায়নামো
বিকল হয়ে পড়ায় চৌম্বক
ক্ষেত্র অপসারিত হয়ে যায়।
No comments:
Post a Comment