জেনে নিন ইংরেজি ভাষা শেখার বৈজ্ঞানিক এবং সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি।
আস-সালামু আলাইকুম। আমরা প্রায় সবাই-ই ইংরেজি বই কম পড়ি বা পড়তে আগ্রহ পাই না। আরো সহজভাবে বললে ভাষাটা বুঝি না বলেই পড়তে ভয় পাই। কিন্তু, আজকের বিশ্বায়নের যুগে ইংরেজি শেখাটা খুব জরুরি। তা নাহলে আপনি যুগের থেকে বেশ পিছিয়ে পড়বেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা ইংরেজি শিখতে গিয়ে ব্যর্থ হই। তার কারণ হচ্ছে আমরা একটি ভাষা শেখার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি জানি না বা অনুসরণ করি না। চলুন ভাষা শেখার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি দিয়েই শুরু করি।
ভাষা শেখার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি:
কখনো কি লক্ষ্য করেছেন কিভাবে একটি শিশু ভাষা শেখে? সে কিন্তু প্রথমেই লেখা বা পড়া শিখে না। গ্রামার বা ব্যাকরণ দিয়েও শুরু করে না। সে প্রথমে আশেপাশের মানুষের মুখ থেকে শোনা শব্দগুলো আয়ত্ত করে। তারপর তার শব্দভাণ্ডার থেকে কিছু কিছু শব্দ ব্যবহার করে। এভাবে সময়ের সাথে সাথে তার শব্দভাণ্ডার বড় হতে থাকে। সে আরো বেশি শব্দ ব্যবহার করে। ৪-৫ বছরে সে তার মাতৃভাষাটা প্রায় পুরোটাই শিখে নে। মূলত এটাই একটি ভাষা শেখার প্রাকৃতিক বা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি।
আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন আমরা বাংলা পারি ঠিকই, কিন্তু আমাদের বানান বা ব্যাকরণে প্রচুর ভুল হয়। যেমন: আমরা পোস্ট শব্দটাকে লিখি পোষ্ট, যা ভুল। আবার আমরা কোরবানির সময় এলে বলি, “এক বিরাট গরু ছাগলের হাট” যার মধ্যে ব্যাকরণিক ত্রুটি বিদ্যমান (শুদ্ধ হচ্ছে: গরু ছাগলের এক বিরাট হাট)।
তো দেখা যাচ্ছে আমরা ব্যাকরণ না জেনেই বাংলা বলতে পারি, যদিও কিছু কিছু ব্যাকরণিক ভুল থেকে যায়।
তো দেখা যাচ্ছে আমরা ব্যাকরণ না জেনেই বাংলা বলতে পারি, যদিও কিছু কিছু ব্যাকরণিক ভুল থেকে যায়।
এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন কেন আমরা বারবার ইংরেজি শিখতে গিয়ে ব্যর্থ হচ্ছি। আমরা সাধারণত গ্রামার দিয়েই ইংরেজি শিখা শুরু করি। যা সম্পূর্ণ ভুল পদ্ধতি। একটি ভাষা শিখতে হলে আপনার শব্দভাণ্ডারে ঐ ভাষার শব্দের সংখ্যা বাড়াতে হবে, ভাষাটা শুনতে হবে। তারপর ঐ ভাষার ব্যাকরণ শিখবেন। তাহলেই আপনি কয়েক বছরেই একটি ভাষা আয়ত্ত করতে পারবেন।
ইংরেজি শিখতে হলে:
১) শব্দভাণ্ডার বাড়াতে হবে:
আপনাকে প্রচুর ইংরেজি শব্দ মুখস্থ করতে হবে। তার জন্য বেশি করে ইংরেজি বই পড়তে পারেন, ইংরেজি আর্টিকেলও পড়তে পারেন। প্রতিদিন ডিকশনারি দেখে যদি ২০ টি শব্দ মুখস্থ করেন তাহলে আপনার শব্দভাণ্ডারে বছরে যোগ হচ্ছে টোটাল ৭৩০০০ টি শব্দ! তবে আজকের শেখা শব্দগুলো আগামী ৩ দিন অবশ্যই রিভিশন দিতে হবে, নাহলে ভুলে যাবেন।
২) প্রচুর ইংরেজি শোনতে হবে:
কোনো ভাষা শোনা কিন্তু বৈজ্ঞানিক ভাষা শিক্ষা পদ্ধতির অংশ। তাই আপনাকে বেশি করে ইংরেজি শোনতে হবে। তার জন্য আপনি ইংরেজি মুভি, টিভি সিরিজ দেখতে পারবেন। এতে করে আপনি শোনার পাশাপাশি বিভিন্ন এক্সপ্রেশন বুঝতে পারবেন।
৩) ইংরেজি গ্রামার শেখা ও পাশাপাশি কথা বলা:
ইংরেজি শিখতে হলে আপনাকে ইংরেজিতে কথা বলার মাধ্যমে আপনার শব্দভাণ্ডারে যোগ হওয়া শব্দগুলো প্র্যাকটিস করতে হবে। আর সঠিকভাবে বাক্য গঠন করতে হলে আপনাকে গ্রামার শিখতে হবে। গ্রামারের জন্য ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের ভালো কোনো বই অনুসরণ করতে পারেন। আর কথা বলতে জড়তা বোধ করলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে নিজের সাথে কথা বলুন।
[দয়া করে পোস্টটি কপি করবেন না। এই পোস্ট ইন্টারনেটে আর কোথাও নেই।]
তো এই ছিলো আমার আজকের লেখা। কথা হবে অন্য কোনো এক সময়ে। ততক্ষণ ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আল্লাহ্ হাফেয।
No comments:
Post a Comment