চাকরীর ইন্টার্ভিউ এর পূর্বে নিজেকে সঠিক ভাবে প্রস্তুত করুন। ছবি: সংগৃহীত |
আপনার সম্পর্কে বলুন?
চাকরীদাতাকে আপনার মানসিক অবস্থা, পরিচয় ও পূর্বে কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয়ে জানতে সহায়তা করে। এই প্রশ্নের মাধ্যমে এটাও বোঝা যায়, আপনার উপর প্রতিষ্ঠানটি কতটুক নির্ভরশীল হতে পারবে। তাই প্রশ্নটির উত্তর দিতে আপনার বংশপরিচয়, শিক্ষাজীবন এবং কাজের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করুন। চেষ্টা করুন ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে উত্তর দিতে।
কেন মনে করছেন চাকরীটার জন্য আপনি যোগ্য প্রার্থী?
এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার ক্ষেত্রে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা, ফলাফল কিংবা অপ্রাসঙ্গিক সফলতার গল্প বলতে যাবেন না। সরাসরি চাকরীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আপনার দক্ষতার কথা তুলে ধরুন।
কয়েকটি শব্দে নিজেকে বর্ণনা করুন
প্রশ্নটির উত্তর দিতে সামান্য সময় নিন। আপনি কয়েকটি শব্দের মাধ্যমে নিজের ভালো গুণগুলো বলতে পারেন এবং তার স্বপক্ষে কোনো ঘটনা থাকলে তা উপস্থাপন করতে পারেন। চাকরীদাতা এই প্রশ্নের মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিত্ব ও মৌলিক গুণগুলো নিয়ে ধারণা পান।
আপনার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা কী?
অনেকেই এর উত্তর দিতে গিয়ে এক নিশ্বাসে বলে ফেলে, আমার কোনো দুর্বলতা নেই। কিন্তু মানুষ হিসেবে আমাদের দুর্বলতা থাকাটাই স্বাভাবিক এবং তা স্বীকার করে নেয়াটা সুন্দর ব্যক্তিত্বের লক্ষণ। তাই প্রশ্নকর্তাকে সততার সঙ্গে উত্তর দিন। অবশ্য কেউ কেউ প্রশ্নটির কৌশলী উত্তর দিয়ে থাকে। যেমন- আমি অতিমাত্রায় বাস্তববাদী।
আমাদের প্রতিষ্ঠান/কোম্পানি নিয়ে আপনার কিছু জানার আছে?
এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এমন প্রশ্ন করুন, যার ফলে চাকরীদাতার মনে হয় আপনি প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে জানতে খুব আগ্রহী। তাছাড়া বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ৩ থেকে ৪টি প্রশ্ন করার মাধ্যমে আপনি তাদের বুঝিয়ে দিতে পারেন, প্রতিষ্ঠানটিতে আপনি কাজ করতে ব্যাকুল হয়ে আছেন।
Tag: চাকরির ইন্টারভিউর প্রশ্ন উত্তর, জব ইন্টারভিউ প্রশ্ন, কমন ইন্টারভিউ প্রশ্ন, চাকরির ইন্টারভিউ এর প্রশ্ন ও উত্তর, ভাইভা প্রশ্ন ও উত্তর, মার্কেটিং প্রশ্ন, কম্পিউটার ইন্টারভিউ প্রশ্ন, শিক্ষক ইন্টারভিউ প্রশ্ন,
No comments:
Post a Comment