যেকোনো নিদৃষ্ট তারিখ কি বার ছিলো আসুন নির্নয় করি মাএ ১ মিনিটে
বৃষ্টি ভেজা শরৎ আকাশ, শিউলি ফুলের গন্ধ৷ মা আসছেন আবার ঘরে, দরজা কেন বন্ধ? পুজো এলো তাইতো আবার বাজনা বাজায় ঢাকী৷ গুনে দেখো পুজো আসতে আরো ছয়’দিন বাকি৷
সকলকে শরৎ শিউলিফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট।
আমরা অনেক সময় কোনো একটি ঘটনার সন ও তারিখ জানি। কিন্তু সেই তারিখে কী বার ছিল তা জানতে ইচ্ছে করে। সেই ইচ্ছে করলেও হাতের কাছে এমন কোনো উপায় থাকে না, যাতে করে চট্ করে সেই বারের নামটা জানা যায়। ফলে জানার ইচ্ছেটাকে সেখানেই মাটিচাপা দিতে হয়। তেমনটি যাতে না ঘটে, সে জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখে কী বার ছিল তা জানার একটা উপায় এখানে জানানোর চেষ্টা।
সকলকে শরৎ শিউলিফুলের শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের পোস্ট।
আমরা অনেক সময় কোনো একটি ঘটনার সন ও তারিখ জানি। কিন্তু সেই তারিখে কী বার ছিল তা জানতে ইচ্ছে করে। সেই ইচ্ছে করলেও হাতের কাছে এমন কোনো উপায় থাকে না, যাতে করে চট্ করে সেই বারের নামটা জানা যায়। ফলে জানার ইচ্ছেটাকে সেখানেই মাটিচাপা দিতে হয়। তেমনটি যাতে না ঘটে, সে জন্য নির্দিষ্ট কোনো তারিখে কী বার ছিল তা জানার একটা উপায় এখানে জানানোর চেষ্টা।
আমরা জানি,জানুয়ারি মাস ৩১ দিনে। এর অর্থ হচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিটা বার আসবে ৩ দিন দেরি করে। এ ৩ দিন দেরি
হবে জানুয়ারি মাসে একই তারিখের বারের তুলনায়। কারণ, ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে এবং ২৮ দিনে ঠিক ৪ সপ্তাহ। তাহলে ফেব্রুয়ারির জন্য এই ৩ সংখ্যাটি আমরা মনে রাখি। আসলে এই ৩ হচ্ছে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের দিনের সংখ্যার পার্থক্য।
একইভাবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের পার্থক্য ৩ দিন- ফেব্রুয়ারি ২৮ দিনে, মার্চ ৩১ দিনে। অতএব মার্চের জন্য মনে রাখতে হবে ৩ সংখ্যাটি। আবার যেহেতু মার্চ থেকে
এপ্রিলে দিনের সংখ্যা ১ দিন কম, সেহেতু মার্চের তুলনায় এপ্রিলের একই তারিখের বারগুলো আসবে ৭-১ বা ৬ দিন পিছিয়ে বা দেরিতে। অতএব এপ্রিলের জন্য মনে রাখা চাই ৬ সংখ্যাটি। এভাবে কোন মাসের একই তারিখ আগের মাসের তুলনায় কয়দিন দেরিতে আসবে তা বিবেচনা করে নিচের
ছকটি তৈরি করা হয়েছে।
হবে জানুয়ারি মাসে একই তারিখের বারের তুলনায়। কারণ, ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে এবং ২৮ দিনে ঠিক ৪ সপ্তাহ। তাহলে ফেব্রুয়ারির জন্য এই ৩ সংখ্যাটি আমরা মনে রাখি। আসলে এই ৩ হচ্ছে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের দিনের সংখ্যার পার্থক্য।
একইভাবে ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসের পার্থক্য ৩ দিন- ফেব্রুয়ারি ২৮ দিনে, মার্চ ৩১ দিনে। অতএব মার্চের জন্য মনে রাখতে হবে ৩ সংখ্যাটি। আবার যেহেতু মার্চ থেকে
এপ্রিলে দিনের সংখ্যা ১ দিন কম, সেহেতু মার্চের তুলনায় এপ্রিলের একই তারিখের বারগুলো আসবে ৭-১ বা ৬ দিন পিছিয়ে বা দেরিতে। অতএব এপ্রিলের জন্য মনে রাখা চাই ৬ সংখ্যাটি। এভাবে কোন মাসের একই তারিখ আগের মাসের তুলনায় কয়দিন দেরিতে আসবে তা বিবেচনা করে নিচের
ছকটি তৈরি করা হয়েছে।
এই ছকটি মনে রেখে কয়েকটি গাণিতিক ধাপ সম্পন্ন করে আমরা বলে দিতে পারবো কোন তারিখে কী বার ছিল।
প্রথম ধাপ :
যে তারিখটির বারের নাম জানতে চান তা ধরুন। মনে করুন
আমরা ১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর কী বার ছিল তা জানতে চাই।
আমরা ১৯৯৭ সালের ২২ ডিসেম্বর কী বার ছিল তা জানতে চাই।
দ্বিতীয় ধাপ :
উপরের ছক থেকে মাসের নামের সংখ্যাটি নিন। ডিসেম্বর মাসের জন্য এ সংখ্যা ৫।
তৃতীয় ধাপ :
এবার তারিখের সংখ্যাটি নিন। এখানে এ সংখ্যাটি ২২।
চতুর্থ ধাপ :
সনের সংখ্যা থেকে শেষ দুটো অঙ্ক দিয়ে গঠিত সংখ্যাটি নিন। এখানে ৯৭।
পঞ্চম ধাপ :
সনের সংখ্যার শেষ দুই অঙ্কের সংখ্যাকে ৪ দিয়ে ভাগ করে ভাগফল দাঁড়ায় ২৪।
নোটঃ এটা ঐ শতকে কততম লিপিয়ার সাল সেটা যানার জন্য। করান লিপিয়ার সালে ১ বছর হতে ৩৬৬ দিন লাগে।
ষষ্ঠ ধাপ :
উপরে পাওয়া সংখ্যা চারটি একসাথে যোগ করুন :
২২+৫+৯৭+২৪=১৪৮
২২+৫+৯৭+২৪=১৪৮
সপ্তম ধাপ :
পাওয়া যোগফলকে ৭ দিয়ে ভাগ করুন। নোটঃ আমরা জানি ৭ দিনে ১ সপ্তাহ
১৪৮-কে ৭ দিয়ে ভাগ করে ভাগফল পাওয়া গেল২১। আর অবশিষ্ট রইল ১।
অবশিষ্ট হিসেবে পাওয়া সংখ্যাই বলে দেবে নেয়া তারিখে কোন বার ছিল। নিচের তালিকা থেকে জানা যাবে তারিখটি কোন বার হলে অবশিষ্ট কত থাকবে। যেমন আমাদের
দেয়া উদাহরণে অবশিষ্ট ছিল ১। তাই এ বারটি ছিল সোমবার তা ছকই বলে দেবে।
১৪৮-কে ৭ দিয়ে ভাগ করে ভাগফল পাওয়া গেল২১। আর অবশিষ্ট রইল ১।
অবশিষ্ট হিসেবে পাওয়া সংখ্যাই বলে দেবে নেয়া তারিখে কোন বার ছিল। নিচের তালিকা থেকে জানা যাবে তারিখটি কোন বার হলে অবশিষ্ট কত থাকবে। যেমন আমাদের
দেয়া উদাহরণে অবশিষ্ট ছিল ১। তাই এ বারটি ছিল সোমবার তা ছকই বলে দেবে।
তারিখ থেকে বার বের করার আরো টেকনিক
সূত্র ১ :
যেকোন বৎসরের ১ম ও শেষ তারিখ (১ম
দিন ও শেষ দিন )
সর্বদা একই বার হবে।
অর্থাৎ :
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি = মঙ্গলবার
ছিল
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর = মঙ্গলবার
হবে
সূত্র ১ :
যেকোন বৎসরের ১ম ও শেষ তারিখ (১ম
দিন ও শেষ দিন )
সর্বদা একই বার হবে।
অর্থাৎ :
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি = মঙ্গলবার
ছিল
২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর = মঙ্গলবার
হবে
সূত্র ২ :
Leap year হলে ক্যালেন্ডারে ১ দিন
বাড়ে(ফেব্রুয়ারিতে ১ দিন বাড়ে), তাই ১ দিন
যোগ দিতে হবে। অর্থাৎ Leap year এর ১ম
ও শেষ তারিখ (১ম দিন ও শেষ দিন ) একই বার হবে না। ১ দিন যোগ দিতে হবে।
অর্থাৎ :
২০১৬ = Leap year
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি = শুক্রবার
হবে
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর = শনিবার
হবে
Leap year হলে ক্যালেন্ডারে ১ দিন
বাড়ে(ফেব্রুয়ারিতে ১ দিন বাড়ে), তাই ১ দিন
যোগ দিতে হবে। অর্থাৎ Leap year এর ১ম
ও শেষ তারিখ (১ম দিন ও শেষ দিন ) একই বার হবে না। ১ দিন যোগ দিতে হবে।
অর্থাৎ :
২০১৬ = Leap year
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি = শুক্রবার
হবে
২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর = শনিবার
হবে
সূত্র ৩ :
চলতি বৎসরের কোন তারিখ যে বার
ছিল, পরবর্তী বৎসরে সেই তারিখ কি বার হবে??
এক্ষেত্রে ১ দিন যোগ দিতে হবে।
অর্থাৎ :
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি = মঙ্গলবার
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি = বুধবার হবে
চলতি বৎসরের কোন তারিখ যে বার
ছিল, পরবর্তী বৎসরে সেই তারিখ কি বার হবে??
এক্ষেত্রে ১ দিন যোগ দিতে হবে।
অর্থাৎ :
২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি = মঙ্গলবার
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি = বুধবার হবে
সূত্র ৪ :
সাধারণত বৎসরের ৩/১, ৪/৪, ৬/৬, ৮/৮,
১০/১০ তারিখগুলো একই বার হয়ে থাকে।
এখানে, ৩/১ = ৩ জানুয়ারি, ৪/৪ = ৪
এপ্রিল, ৬/৬ = ৬ জুন, ৮/৮ = ৮ অগাস্ট, ১০/১০ = ১০ অক্টোবর
সাধারণত বৎসরের ৩/১, ৪/৪, ৬/৬, ৮/৮,
১০/১০ তারিখগুলো একই বার হয়ে থাকে।
এখানে, ৩/১ = ৩ জানুয়ারি, ৪/৪ = ৪
এপ্রিল, ৬/৬ = ৬ জুন, ৮/৮ = ৮ অগাস্ট, ১০/১০ = ১০ অক্টোবর
অর্থাৎ :
কোন বৎসরের ৩/১ শনিবার হলে ৪/৪, ৬/৬,
৮/৮, ১০/১০ এই
তারিখ গুলোও শনিবার হবে।
কোন বৎসরের ৩/১ শনিবার হলে ৪/৪, ৬/৬,
৮/৮, ১০/১০ এই
তারিখ গুলোও শনিবার হবে।
প্রশ্ন: ২০১৩ সালের ১ লা জানুয়ারি
মঙ্গলবার হলে ঐ
বৎসরের ১২ ই অক্টোবর কী বার হবে?
মঙ্গলবার হলে ঐ
বৎসরের ১২ ই অক্টোবর কী বার হবে?
উত্তর :
প্রশ্নে ১/১ মঙ্গলবার বলা আছে। এর
দুইদিন পর ৩/১ হবে বৃহস্পতিবার।
প্রশ্নে ১/১ মঙ্গলবার বলা আছে। এর
দুইদিন পর ৩/১ হবে বৃহস্পতিবার।
আমরা জানি — ৩/১, ৪/৪, ৬/৬, ৮/৮, ১০/১০ তারিখগুলো একই বার হয়ে থাকে।
এখন ৩/১ যদি বৃহস্পতিবার হয় তবে ১০/১০ হবে বৃহস্পতিবার।
(সূত্রানুসারে)
সুতরাং ১২/১০ হবে শনিবার।
এখন ৩/১ যদি বৃহস্পতিবার হয় তবে ১০/১০ হবে বৃহস্পতিবার।
(সূত্রানুসারে)
সুতরাং ১২/১০ হবে শনিবার।
জানা তারিখে জানা বার নিয়ে এই নিয়মটি অনুশীলন করে দেখুন ঠিক কি না।
পোস্টি ভালো লাগলে আলতো করে লাইক বাটনে একটা চাপ দিয়ে যাইয়েন।
কেউ না বুঝলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
কেউ না বুঝলে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ
No comments:
Post a Comment